নিজস্ব প্রতিবেদক: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন দাতা সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত টিউবওয়েলের মধ্যে অধিকাংশ অকেজো হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে এই পরিস্তিতি ধারণ করেছে। কিছু কিছু টিউবওয়েলে পানির দেখা মিললেই তা দিয়ে চাহিদা পুরণ হচ্ছেনা। ফলে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার পানির তীব্র সংকট। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পানির চাহিদা পুরনের লক্ষ্যে গভীর নলকূলের স্থাপনের কাজ শুরু করলেও তা অদ্যবধি শেষ না হওয়ার কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পানির জন্য হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে।
রোহিঙ্গাদের অভিযোগ ক্যাম্প গুলোতে টিউবওয়েল স্থাপনের নামে সম্পৃক্ত ঠিকাদারগণ টাকা লুটপাট করে তাদের দায়িত্ব শেষ করেছে। যে কারনে টিউবওয়েল স্থাপনের কয়একমাসের মধ্যে অধিকাংশ টিউবওয়েল পানি শূণ্য হয়ে পড়েছে। অনেকেই বাজার থেকে বোতলজাত পানি ক্রয় করে পান করছেন। অন্যান্য কাজের জন্য পানির অভাবে শিশু ও বৃদ্ধরা নাকাল হয়ে পড়ছে। আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে। সে জানায়, পানি সমস্যা নিবারণের জন্য সরকারি ভাবে গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ পানি পাওয়া যায় তাও সঠিক করে বলা যাচ্ছেনা।
রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয়ার শুরুতেই নলকূপ বসানোর হিড়িক পড়েছিল। এনজিওগুলো নামমাত্র টিউবওয়েল বসিয়ে কোটি কোটি টাকা দাতা সংস্থা থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। এমতাবস্থায় রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগ খাল, নালা, পুকুর ও জলাশয়ের পানি ব্যবহার করছে। যে কারণে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অসংখ্য রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশু।
ওই ক্যাম্পে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ব্রাকের স্বাস্থ্যকর্মী লিলুফা ইয়াসমিন জানান, ক্যাম্পে বর্তমানে পানি বাহিত রোগ আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অতি সহসায় বৃষ্টিপাত না হলে রোহিঙ্গাদের পরিণতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এমন মন্তব্য করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন অনাবৃষ্টির কারনে ক্যাম্প গুলোতে পানি সমস্যার সৃষ্টি হলেও তা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :