শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:৩৭ সকাল
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোপা দেল রের টানা চতুর্থ শিরোপা জিতল বার্সেলোনা

২০১৬ সালে একই মাঠে শিরোপা-নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেবার ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। শনিবার রাতের ফাইনালটা সে জন্যই সেভিয়ার কাছে প্রতিশোধ নেওয়ার ম্যাচ হতে পারত। সেটা তো হলোই না, উল্টো ৫-০ গোলের বিশাল পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেভিয়া। সেভিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো কোপা দেল রের শিরোপা ঘরে তুলল বার্সেলোনা। পুরো ম্যাচে বলতে গেলে পাত্তাই পেল না সেভিয়া। প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যান ভালভার্দের শিষ্যরা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল হজম করে সেভিয়া। বার্সার হয়ে সুয়ারেজ দুটি, মেসি-ইনিয়েস্তা-কুতিনহো একটি করে গোল করেন। ১৯৮০ সালের পর কোপা দেল রে ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় এটি। সেবার রিয়াল শিরোপা জিতেছিল ৬-১ গোলের ব্যবধানে।

পুরো ম্যাচে সেভিয়াকে নিয়ে ছেলেখেলা খেললেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়েরা। প্রথমার্ধের ১৪তম মিনিটে সেভিয়ার বুকে প্রথম ছুরি চালান লুইস সুয়ারেজ। কুতিনহোর পাস থেকে সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। এরপর বেশ কিছুক্ষণ আক্রমণাত্মক ফুটবলে সেভিয়ার রক্ষণকে হাঁপিয়ে তোলেন মেসি-সুয়ারেজরা। ৩১তম মিনিটে আর্জেন্টাইন গোলমেশিন মেসি দ্বিতীয় গোল করে স্কোরলাইন ২-০-তে নিয়ে যান। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা-জোর্দি আলবার সমন্বিত আক্রমণে থেকে পাস পান আর্জেন্টাইন তারকা। পরের গোলটির জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বার্সা-সমর্থকদের। ম্যাচের ৪০তম মিনিটে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন সুয়ারেজ। ডি-বক্সে ঢোকার মুখে বল নিজের পায়েই ছিল। সুবিধাজনক জায়গায় মেসিকে পেয়ে তাঁকে পাস দেন সুয়ারেজ। এরপর ডি-বক্সের ভেতরে সুয়ারেজকে ফিরতি পাস দেন মেসি। বল জালে জড়াতে একটুও ভুল করেননি উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার সুয়ারেজ।

প্রথমার্ধে ইনিয়েস্তার একটা শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। এরপর একবার অফসাইডের ফাঁদে আরেকবার ফাউলের শিকার হন মেসি। এসব না হলে প্রথমার্ধেই গোলের সংখ্যা হয়তো আরও বাড়ত।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই গোলের নেশায় পেয়ে বসে স্প্যানিশ জায়ান্টদের। বার্সার হয়ে নিজের শেষ ফাইনালকে স্মরণীয় করে রাখতে একটা গোল যে দরকার ছিল ইনিয়েস্তার। সে জন্যই কিনা ৫২তম মিনিটে গোল করেন এই স্প্যানিশ তারকা (৪-০)। এবারও বল বানিয়ে দেন মেসি। ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে সেভিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন কুতিনহো। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের ব্যবধান ৫-০-তে নিয়ে যান কুতিনহো। এর আগে ৫৪তম মিনিটে পরপর দুবার সুয়ারেজ ও উমতিতির শট আটকে দেন সেভিয়ার গোলরক্ষক সোরিয়া। তা না হলে নিশ্চিতভাবেই গোল সংখ্যা আরও বাড়তে পারত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়