গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও রঙিন পোশাকের পদচারণায় মুখরিত হলো র্যাব সদর দফতর।
শনিবার দুপুরে র্যাব সদর দফতর বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ অনুষ্ঠানে উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে। যান্ত্রিক সভ্যতার চরম উৎকর্ষের যুগে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য প্রায়ই বিলুপ্তির পথে। সেই ঐতিহ্য একটু মনে করিয়ে দিতেই এ আয়োজন। সেখানে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী মেলার একটি ছোট্ট চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে পান্তা-ইলিশ, মিষ্টি-মালাই, পিঠা-পায়েসের অয়োজন ছিল। পাশাপাশি আয়োজন করা হয় গ্রামীণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
র্যাব সদর দফতরে বিভিন্ন স্টল যেমন, কাচারি ঘর প্রদর্শনী, পানের ডালা, ঝাতি, ঢোল, মাথাল, টোনা, লাঙ্গল, কাঁচি, কুলা, চালুন, খইচাল, বাবুই পাখির বাসা, কলের গান ও ভাত খাওয়ার মাটির পাত্র। কাচারি ঘরে এলাকার মুরুব্বীরা, রাজা-রাণীসহ রাজ পরিবার, ঘটক, বর-কনে, সাপুড়ে ও বেদেনি দলের নৃত্য, গরু, ঘোড়া ও মহিষের গাড়ি, কৃষকের কাঁধে লাঙ্গল-জোঁয়াল, বায়োস্কোপ, হাওয়াই-মিঠাই, ঢেঁকি, কুঁড়েঘর, ধান মাড়াই কল, কামার-কুমার, তাঁতী ও জেলের দল, বাউল-কবিয়াল, জারি ও দোতারা বাদক দল, বৈঞ্চব-বৈঞ্চবী, পালকি, লাঠিখেলা, বাবুই পাখির বাসা, রাখাল-লাঠিয়াল, ধুপি-মুচার-নাপিত, চরকা-ধুনকর, ঘুড্ডি-নাটাই, নৌকা-বেদে সম্প্রদায়সহ পশুপাখির আদলে বাঁশ-কাঠ ও কর্কসীটের তৈরী বাহারি কার্টুন-ফেষ্টুন, কলসি কাঁখে মেয়েরা, মেয়েদের প্রজাপতির দল, ফেরিওয়ালা, বাঁশির দল, পাখা হাতে মেয়েদের দল, নানা-নাতি, ভিক্ষুক, মুক্তিযোদ্ধা, নকশীকাঁথা, কাঠমিস্ত্রী, পুঁথিপাঠ, ঢাক-ঢোল, খোল-কর্তাল, রঙিন ছাতা ও নিশানের সমারোহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ পুলিশ ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন ও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান তারা। র্যাব কর্মকতারা জানিয়েছেন, বৈশাখের দিনে গ্রামবাংলার এমন মধুর ঐতিহ্য আরেকবার সবার মনে স্মরণ করতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এসবের ব্যবস্থা করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :