শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ০১:৩৩ রাত
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ০১:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বোরো ধান চাষে লাগে ২৪০ কোটি টাকার ৬১ লাখ ৬০ হাজার কোটি লিটার পানি

কেজিতে ৩২০০ লিটার। বর্তমানে দেশে বছরে বোরো ধান চাষে লাগে ২৪০ কোটি টাকা দামের ৬১ লাখ ৬০ হাজার কোটি লিটার পানি। মাটির নীচ থেকে এই পানি তোলার জন্য খরচ হয় ৩০ কোটি ইউনিট বিদ্যুত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে প্রতি কেজি বোরো ধান উৎপাদনের জন্য ৩২০০ লিটার পানি খরচ হয়ে থাকে। দেশে বর্তমানে তিন কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন বোরো, আউশ ও আমন ধান উৎপাদন হয়ে খাকে। এর মধ্যে শতকরা ৫৫ ভাগ হারে এক কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার মেটিক টন অর্থাৎ এক হাজার ৯২৫ কোটি কেজি বোরো ধান উৎপাদন হয়। কেজি প্রতি ৩২০০ লিটার হারে ওই পরিমাণ ধান উৎপাদনে খরচ হয় ৬১ লাখ ৬০ হাজার কোটি লিটার পানি।

লন্ডন ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার এসোসিয়েশন (আইডব্লিউএ) এর সদস্য প্রকৌশলী মো. ফারুক নেওয়াজ মহসিন বলেন, বোরো ধান চাষের সেচের জন্য ব্যবহৃত পানির পুরোটাই মাটির নীচ থেকে তোলা হয়। বোরো চাষের জন্য ব্যবহৃত ওই পরিমান পানি মাটির নীচ থেকে তুলে সেচের কাজে ব্যবহারের জন্য ২৪০ কোটি টাকার (ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম ৮টাকা হারে) ৩০ কোটি ইউনিট বিদ্যুত খরচ হতে পারে। দিন যত যাবে মাটির নীচের পানি তোলার খরচও বাড়বে। এছাড়া লাগাতার পানি তোলায় মাটিতে বাড়ছে আর্সেনিকসহ ভারি ধাতবের পরিমাণ।

এতে বিরুপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে পরিবেশ ও প্রতিবেশ এর ওপর। নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বোরো ধান সাধারণত রবি বা শুষ্ক মৌসুমে চাষ হয়। এসময় সারা দেশে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর নদী ও খাল শুষ্ক থাকে। একারণে বোরো ধান চাষে ব্যববহৃত পানির প্রায় পুরোটাই মাটির নীচ থেকে তুলতে হয়। মাটির নীচেয় গর্ত খুঁড়ে বসাতে হয় গভীর ও অগভীর নলকুপ। এভাবে ক্রমাগত তোলায় পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। তাই বর্তমানে অনেক সময় গভীর নলকুপেও পানি পাওয়া যায়না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় উত্তর বঙ্গ শস্যহীন এলাকায় পরিণত হবে। আপামর জনগণের দু’বেলা ভাতের যোগান দেয়ার প্রয়োজনে দেশ এখনো বোরো ধানের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই নির্ভরশীলতা কাটাতে হবে।

কারণ জেনেশুনে বেশি দিন বিষ খাওয়া যাবেনা। আউশ ও আমনে উৎপাদন খরচ কম। রোপা আমনে শুধু সম্পুরুক সেচ দিতে হয়। বোরো ধান চাষে বাড়তি পানি খরচ ছাড়াও কৃষিজমি, পরিবেশ এবং কৃষকের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব বেশি। বোরোতে বেশি পরিমাণে সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। বোরো মৌসুমে একরপ্রতি জমিতে সেচের ব্যয় গড়ে ছয় হাজার টাকা, যা সব ধরনের সারের পেছনের খরচের চেয়েও বেশি। আমনে সেচের খরচ একরে এক হাজার ২০০ টাকা। বোরোতে সার ও কীটনাশকের ব্যয় একরে সাত হাজার টাকা। আমনে খরচ হয় পাঁচ হাজার টাকা। গত মৌসুমে প্রতি কেজি বোরো ধান উৎপাদনের মোট খরচ ছিল ২০ টাকা। আমনে উৎপাদনে খরচ বোরোর চেয়ে কেজিতে দুই টাকা কম, ১৮ টাকা। চলতি মৌসুমে খরচ আরো বেশি হয়েছে বলে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে। এবছর সরকার কেজি প্রতি ধানের দাম ২৬ টাকা বেধে দিয়েছে।

কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, তুলনামূলক কম খরচ এবং কম সময়ে আউশ ও আমন ধানে বোরো ধানের মতোই ফলন পাওয়া সম্ভব। বোরো ধানে প্রচুর পানিসহ অন্যান্য খরচ হয়ে থাকে। উৎপাদনে সময়ও বেশি লাগে। আউশ বৃষ্টি নির্ভর ধান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়