এইভাবে ছাত্রদেরকে হয়রানি করা কোনভাবেই কাম্য নয় । এই আন্দোলন স্বতঃস্ফুর্তভাবে সাধারণ ছাত্ররাই করেছে। কোটা সংস্কারের এই আন্দোলনের সাথে শরিক হয়েছে অনেকেই। আন্দোলনের তীব্রতার কারণে তাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। যদিও সে আন্দোলনের দাবি ছিলো, কোটা সংস্কার করার । আমি কোটা বাতিলের পক্ষে না, কোটা সংস্কারের পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার না করে বাতিল করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি তার মতামতের সাথে একমত নই । আমি মনে করি, কোটার পরিমান কমানো যেতে পারে এবং আলোচনার ভিত্তিতে যৌক্তিকভাবেই সেটাকে কমিয়ে সংস্কার করা উচিত। এটা হল, প্রথমত আমার আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য । দ্বিতীয়তঃ সে আন্দোলন করতে গিয়ে এখন আন্দোলনকারী ছাত্ররা পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছে,এটা কোনভাবেই কাম্য নয় ।
সরকার আন্দোলনের দাবি কৌশলে মেনে নিয়ে এখন তারা নানাভাবে দমন পীড়ন চালাচ্ছে। এখন তো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, সরকার রাগ আর অভিমানের মধ্য দিয়েই কোটা বাতিল করেছেন। সেটা কোন দায়িত্বশীল সরকারের আচরণ নয়। একদিকে সরকার কোটা বাতিলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এবং অন্যদিকে ছাত্রলীগকেও আন্দোলনকারীদের কঠিনভাবে দমানোর জন্যে ব্যবহার করছেন। আমি চাই সকল শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ক্যাম্পাসে থাকুক। হলে হলে সন্ত্রাস দখলদারিত্বের অবসান হোক।
শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে ছাত্র সংসদ কার্যকর হোক। তাতে শিক্ষার্থীরা তাদের কথা গণতান্ত্রিকভাবে ছাত্র সংসদের মাধ্যমে বলতে পারবে। আমি প্রত্যাশা করি আন্দোলনরত ছাত্রদের তাদের উপর যে মামলাগুলো আছে, সেই মামলাগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। সর্বোপরি ক্যাম্পাসগুলোতে পুলিশ কিংবা ছাত্রলীগের হয়রানি, দখলদারিত্ব আর সন্ত্রাস যেন বন্ধ হয় ।
পরিচিতি : সাবেক সভাপতি, ছাত্র ইউনিয়ন/মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :