মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলনকে মেনে নিলেন। তিনি ছাত্রদের আন্দোলনের ভিত্তিতেই কোটা সংস্কার না করে বাতিলই করে দিলেন। আন্দোলনকারীরা যদি জামায়াত -শিবিরের হতো নিশ্চয় প্রধানমন্ত্রী তাদের দাবি মানতেন না। তিনি বুঝেশুঝে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। প্রধানমন্ত্রী বাহিরে থাকা অবস্থায় আন্দোলনের সমন্ব্যকদের তুলে নিয়ে যাওয়া আবার ছেড়ে দেওয়া। একজনের বাবাকে গ্রেপ্তার করা এসব সম্পূর্ণ রহস্যজনক। দাবী মেনে নেওয়ার পর এসব নির্যাতন কাম্য নয়। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।
৭১ টিভিতে দেখলাম একজন আন্দোলনকারীর ২০১৩ সালের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে নানান প্রশ্ন করা। জীবন ফিরে পাওয়া ব্যক্তির মানসিক অবস্থান বিবেচনা না করে তাকে নানান প্রশ্ন করা হয়। গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল তা নিয়ে তেমন মাথা ব্যথা না থাকলেও ২০১৩ সালে সে ফেসবুকে কি লিখেছিল সেটাই সাংবাদিকের কাছে মুখ্য। এ দেশে জীবনের চেয়ে রাজনৈতিক মতাদর্শ মূল্যবান নাকি? আন্দোলন যৌক্তিক কি না সেটা আসল বিষয় কারণ এ দেশের মানুষের রক্তে রাজনীতি বিদ্যমান। সে হিসেবে কে কোন দল করল সেটা দেখে কি লাভ?
ছাত্র আন্দোলনের এই নেতার স্ট্যাটাস ছিল পর্দা নিয়ে, স্ট্যাটাস ছিল ইসলাম নিয়ে। যদিও সে বলেছে এসব এডিট করা । ইসলামিক স্ট্যাটাস লিখলে জামায়াত শিবির হওয়ার যুক্তি নেই। আর জামায়াত শিবির ইসলামের সিঁড়ি নয় যে ইসলামের পক্ষে লিখলেই কেউ জামায়াত শিবির যাবে। আমরা জানি জাতীয় সংসদে কুরআন তেলাওয়াত হয় তাই বলে সংসদ সদস্যরা জামায়াত শিবির নয় বরং অনেক সদস্য হিন্দু ধর্মের অনুসারী। তাছাড়া কোন দল করলেই গুম করা হালাল করার মানসিকতার পরিবর্তন আবশ্যক।
লেখক : শারজাহ/ইউএই থেকে/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :