আগের দিনই ২৩৭ রানে এগিয়ে ছিল দক্ষিণাঞ্চল। তবে শেষ দিনে তাতে আরও ১৩৬ রান যোগ করে দলটি। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে সদ্যই কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে। এ ব্যাটারের হার না মানা সেঞ্চুরির সঙ্গে অবশ্য দারুণ ব্যাট করেছেন তরুণ অলরাউন্ডার নাঈম হাসানও। তবে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারেনি দক্ষিণাঞ্চল। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান আব্দুল মজিদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে হার এড়াতে পেরেছে মধ্যাঞ্চল। ফলে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে গেলো তারা।
শুক্রবার রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৬ উইকেটে ৩৪৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণাঞ্চল। তবে দলের স্কোরে আর ১৫ রান যোগ করতেই আউট হন জিয়াউর রহমান। তবে এক প্রান্তে দারুণ ব্যাট করতে থাকেন মোসাদ্দেক। নাঈম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ১২১ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় লিড এনে দেন এ ব্যাটসম্যান। নাঈম আউট হতেই ৮ উইকেটে ৪৮৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি।
ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে এদিন ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ১০৭ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন নাঈমও। ৬২ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মধ্যাঞ্চলের পক্ষে ১১০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন মোশারফ হোসেন। এছাড়া আবু হায়দার রনি ও তানবীর হায়দার ২টি করে উইকেট পান।
৩৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি মধ্যাঞ্চল। ৪৬ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সাদমান ইসলাম। তৃতীয় উইকেটেও মার্শাল আইয়ুব ও আব্দুল মজিদ ৪৬ রান যোগ করেন। তবে দলীয় ১৪৩ রানে মধ্যাঞ্চলের ৫টি উইকেট তুলে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। তবে ষষ্ঠ উইকেটে মোশারফ ও মজিদের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিংয়ে ৭ ওভার আগেই ড্র মেনে নেয় দুই দল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন মজিদ। ১১০ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ৪৩ রান করেন সাইফ হাসান। দক্ষিণাঞ্চলের পক্ষে ৭৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পেয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। ১টি করে উইকেট পান নাঈম ও রাব্বি।
আপনার মতামত লিখুন :