শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ দুপুর
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৪ বছর ধরে লাইজুর লাশ এখনও হিমঘরে

আইনি জটিলতায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে ৪ বছর থেকে পড়ে থাকা হোসনে আরা লাইজু ( নিপা রানীর) লাশ এখনো হস্তান্তর হয় নি।

গত ১২ এপ্রিল তার লাশ ইসলামীরীতি অনুযায়ী দাফনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। রায়ের কপি পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে দাফন করতে বলা হয়েছে। রায়ের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তার লাশ দাফনে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় নি।

এদিকে হাইকোর্টের রায়ের জাবেদা কপি নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়ে লাশ দাফনের অপেক্ষায় রয়েছেন লাইজুর শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

সূত্রে জানা যায়, নীলফামীর জেলার ডোমার উপজেলার বামনিয়া ইউনিয়নের অক্ষয় কুমার রায়ের মেয়ে নিপারানী রায়। নিপারানীর সাথে পাশ্ববর্তী বাড়াগাড়ি ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার জহুরুল ইসলামের পুত্র কবির রাজুর সাথে প্রেম ছিল।

২০১৪ সালে জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে নীলফামারী নোটারী পাবলিকে এফিডেফিটের মাধ্যমে ২ লাখ ১ হাজার ৫০১ টাকা দেনমোহরে হুমায়ুন কবির বিয়ে করেন নিপাকে। এ সময় নিপার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় হোসনে আরা লাইজু। বিয়ের পর মেয়ের বাবার অভিযোগে ছেলে মেয়ে দুজনকেই জেল হাজতে নেয়া হয়।

পরে তারা দুজনই জেলে থেকে মুক্তি পায়। মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৪ সালের ১৫ জানুযারী নিপারানী ওরফে লাইজু বিষপান করে আত্নহত্যা করে। নিপারানীর লাশটি ময়নাদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হলে আইনি জটিলতায় তখন থেকেই লাশটি হিমঘরে পড়ে থাকে।

এদিকে নিপার লাশ মেয়ে হিসেবে দাবী করেন বাবা অক্ষয় কুমার মাষ্টার । অপর দিকে বৌমা হিসেবে লাশ দাবি করেন ছেলের বাবা জহুরুল ইসলাম। মামলার রায়ে মেয়ের বাবা হেরে যান। পরবর্তীতে সাব- জজ আদালতে আপিল করে ছেলের বাবা হেরে যান। এরপর ছেলের বাবা হাইকোটে আপিল করেন। লাইজুর মরদহ ইসলামীরীতি অনুযায়ী দাফনের নির্দেশ দিয়ে হাইকোটের পূনাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

ছেলের বাবা জহুরুল ইসলাম জানান, তিনি হাইকোর্টের রায়ের জাবেদা কপি নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জমা দিয়েছেন। প্রশাসন রমেক হাসপাতাল থেকে লাশ দিলেই হস্তান্তর করা হবে।

মেয়ের বাবা অক্ষয় কুমার জানান, রায় মেনে নিয়েছেন কোন আপিল করবেন না।
হাসপাতালের পরিচালক ডা, অজয় কুমার রায় জানান, কাগজপত্র পেলে লাশ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবেন।

নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খন্দকার নাহিদ হাসান জানান, রমেক হাসপাতাল থেকে লাশ গ্রহণ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়