মানিকগঞ্জের কালীগঙ্গা নদীতে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। বালুমহল হওয়া সত্ত্বেও নিয়মানুযায়ি বালু উত্তোলন না করায় একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অপরদিকে হুমকির মুখে রয়েছে বেউথা ব্রীজ, নদী তীরবর্তী ফসলি জমি ও বসতভিটা। সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতাকর্মীরাই এ বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, জেলা পরিষদের সদস্য আবুল বাশার,পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাপস সাহা, প্রণয় কুমার তুষার নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন।আশেপাশের বিভিন্ন ডোবা নালা ভরাট করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ পাল্টে যাচ্ছে। এ সকল ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর ভাঙ্গনে সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এ বিষয়ে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাপস সাহা কোন কথা বলতে রাজি হননি। ড্রেজার চালানোর বিষয়ে প্রণয় কুমার তুষার বলেন ,আমার দুটি ড্রেজার চলে। আমি সরকারি টাকা পরিশোধ করেই ড্রেজার চালাই। তবে তিনি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। জেলা পরিষদের সদস্য আবুল বাশারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার(ভূমি) জেতি প্রু বলেন,বিভিন্ন সময় অবৈধ্য ড্রেজারের ব্যাপারে অভিযান চালানো হয়েছে। কোন সরকারি স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে ড্রেজার চালানো নিষিদ্ধ। বেউথাতেও যেসকল অবৈধ্য ড্রেজার আছে তা উচ্ছেদ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :