নূর মাজিদ: কমনওয়েলথ সফর উপলক্ষে লন্ডন সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার তীব্র বিক্ষোভ সমাবেশের সম্মুখিন হয়েছেন। ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ, অর্থনৈতিক বৈষম্য সহ নানা অভিযোগে মোদী বিরোধী এই বিক্ষোভের আয়োজন করে মূলত প্রবাসী শিখ এবং মুসলিম গ্রুপগুলি, এতে অংশ নেয় হাজারো মানুষ।
তবে বুধবার মোদীর আগমন উপলক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেয়া গ্রুপগুলোতে কাশ্মীরী এবং শিখ স্বাধীনতাকামীরাও অংশ নেয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা কাশ্মীরী শিশু আসিফার ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে তার ধর্ষণকারী ও খুনিদের বিচারের দাবীতে স্লোগান দেয়। বিক্ষুদ্ধ জনতা ‘মোদী ফিরে যাও’ এবং ‘মোদী একজন খুনি’ বলেও স্লোগান দেয়।
এদিকে এবারে কমনওয়েলথ সম্মেলনের প্রেক্ষাপট নানা দিক থেকেই ভারত এবং ব্রিটেনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ব্রিটেনের জন্য তো অবশ্যই। ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ব্রিটেন ভারতের সঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। ইউরো জোনের বাহিরে থাকা ব্রিটেন বানিজ্যে নীতিতে ভারতের প্রতি আরো উদারনীতি প্রদর্শন করবে ফলে এমন ব্যবসায়িক পরিবেশে দুই দেশই উপকৃত হবে। কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকের পরপরই মোদী ভারত-যুক্তরাজ্য যৌথ বাণিজ্য অংশীদারিত্ব’এর নয়া রূপরেখা নিয়ে স্বাগতিক দেশের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। এই বৈঠকে মোদী ব্রিটেনের সঙ্গে ১.৪ বিলিয়ন ডলারের এক বাণিজ্য চুক্তিও স্বাক্ষর করবেন। ২০১৭ অর্থবছরে দেশদুটির মধ্যে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয় এবং নতুন চুক্তি স্বাক্ষর হলে তা আরো ৫,৭৫০জন ব্রিটিশ নাগরিকের কর্মসংস্থান তৈরি করবে বলেই পার্লামেন্টকে জানিয়েছে থেরেসা মে’র সরকার।
মোদী বিরোধী প্রবাসীদের মানবাধিকার গ্রুপগুলো জানিয়েছে, মোদী সরকারের অধীনে ভারতের সংখ্যালঘুরা পাইকারি দরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সমালোচনা ও চাপের মুখে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন মোদী। বুধবার কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগদানের পূর্বে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। ‘ভারতকি বাত, সাবকে সাথ’ শিরোনামের সংবাদ সম্মলনে মোদী বলেন, ‘ধর্ষণ ধর্ষণই, এই ধরণের ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করাও লজ্জাজনক।’ এএফপি
আপনার মতামত লিখুন :