সাজিয়া আক্তার : গাজীপুরে এখন জলাশয়ের অভাবে পানির জন্য বিপাকে আছে ফায়ার সার্ভিস। কোথাও আগুন লাগলে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে। ফলে আগুনে ব্যাপকতা বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এ পর্যন্ত গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে বিভিন্ন এলাকায় ৩০’র বেশি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ জায়গায় পানির অভাবে আগুন নিভাতে হিমশিম খেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। গাজীপুরের কোনাবাড়ি, কাশেমপুর, টঙ্গি, চন্দনাসহ চৌরাস্তা এলাকায় গড়ে উঠেছে হাজারো শিল্পকারখানা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই জলাশয়, পুকুর ভরাট করেই শিল্পকারখানা, জুট গুডাউনের পাশাপাশি নির্মাণ করা হচ্ছে আবাসিক ভবন। ফলে কমছে পানির উৎস্য।
গাজীপুরের স্থায়ী বাসীন্দারা বলেন, আমাদের এখানে যে ডোবাগুলি ছিল সেইগুলি ভরাট করে বড় বড় বিল্ডিং করে ফেলেছে। এখন ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসলে আমাদের পানির সমস্যা দেখা দেয়। যদি এই জলাশয়গুলো ভরাট না করতো তাহলে কোথাও আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে পানি পাওয়া যেত আর এত ক্ষয়ক্ষতি হত না।
ব্যক্তি মালিকাধীন পুকুর ভরাটের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের জলাশয় দখল কিংবা লিজ নিয়েও জলাশয় ভরাটের ঘটনাও কম নয়। রাস্তার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা না রেখেই নির্মাণ করা হচ্ছে স্থাপনা। এসব এলাকায় আগুন লাগলে পৌছাতেও বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ক্ষুব্দ নগরবাসী।
স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন, এখানে রাস্তা এত ছোট করে ফেলেছে যে কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস এর গাড়ি পৌছানো সম্ভব না। সিটি কর্পোরেশনে যারা নির্বাচিত হবেন তাদেরকে এই বিষয় গুলা গুরুত্বসহকারে সমাধান করতে হবে।
পুকুর জলাশয় সংরক্ষণে সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনে কার্যকর উদ্যোগ চায় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস উপ-সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, শিল্পাঅঞ্চল গড়ে উঠতে এখানে রাস্তাঘাটগুলা সরু হয়ে যাচ্ছে এবং পুকুরগুলো ও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ভবিষতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘনা ঘটলে সেক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের জন্য পানি পাওয়া সমস্যা হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা প্রশাসন যদি জলাশয় গুলা সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে পারে।
সূত্র: যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :