জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া : আমার ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের অর্জন রাজনীতি, আর্থিক কোনো অর্জন নেই। আমার সততা ও নিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগেই উত্তপ্ত ভোটের মাঠ। হলফনামাকে কেন্দ্র করে পাল্টা অভিযোগ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি প্রার্থীর। হলফনামায় তথ্য গোপনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত খুলনায় ভোটের মাঠ আর রাজনৈতিক অঙ্গন।
এদিকে নির্বাচক বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির পথে অন্তরায়।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় অসচ্ছ ও আয়ের তথ্য গোপন করেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হলেও হলফনামায় উল্লেখ করেননি। তালুকদার খালেকের ৯ বছর আগে ভাড়া বাড়িতে থাকা এবং ৯ বছরের তার স্ত্রীর কোটি কোটি টাকা।
খুলনা আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, নিজের তথ্য গোপন করতেই কাদা ছোড়াছুড়ি করছেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু। জয়েন্ট স্টক কোম্পানির ব্যবসায় জড়িত থাকলেও তা হলফনামায় উল্লেখ করেনি বিএনপি মেয়র প্রার্থী। এই বাজারে একজন লোককের মাসিক আয় ২০ হাজার টাকা, এটা যে তিনি সঠিক দিয়েছেন বলে আমি মনে করি না।
খুলনা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক কুদরত ই খুদা বলেন, হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমি জনগণ থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখবো, এটা কিন্তু সম্ভব না। জনগণ কিন্তু এটা বোঝে এবং তারা সেটা ভোটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে। তথ্য গোপন এবং অসত্য তথ্য উপস্থাপনে প্রার্থীদের শাস্তির দৃষ্টান্ত না থাকায় এমন ঘটনা ঘটছে। সূত্র : যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :