শিরোনাম
◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:১১ সকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তেলে মাথায় তেল!

নিজস্ব প্রতিবেদক : দীঘিনালায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন একটি সড়কে প্রয়োজন নেই তবু অর্ধকোটি টাকার উন্নয়নকাজ চলছে। অথচ একই এলাকায় জরুরিভিত্তিতে সংস্কার প্রয়োজন এমন কয়েকটি ভাঙা সড়ক থাকলেও সেগুলো সংস্কারে বরাদ্দ নেই! ফলে জনস্বার্থে সড়ক উন্নয়ন হলেও কমছে না জনদুর্ভোগ। এ যেন তেলে মাথায় তেল!

উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে, জনবহুল নয় উপজেলা, ইউনিয়ন এবং গ্রামাঞ্চলের সড়কের মধ্যে উপজেলা সদরের সড়কগুলোতে অধিক গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ আসে। তাই ভাঙা হলেও ইউনিয়ন ও গ্রামাঞ্চলের সড়কে বরাদ্দ না থাকায় কাজ করা যাচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নবকমল চাকমা বলেন, ‘আমাদের চাহিদা এবং পরামর্শকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। প্রয়োজনীয় এলাকায় উন্নয়নকাজ না হওয়ায় জনভোগান্তি কমছে না। প্রকৃতপক্ষে ভাঙা সড়কগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েই কাজ করা প্রয়োজন।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, দীঘিনালা-ভাইবোনছড়া ভায়া বৌদ্ধপাড়া, আলমগীরটিলা পাকা সড়কে চলছে সিলকোট কাজ। অথচ সড়কটি সম্পূর্ণ ভালো। সড়কের কোথাও ভাঙার কোনো চিহ্ন চোখে পড়েনি। এমনকি এ সড়কে কোনো যাত্রীবাহী গাড়িও চলাচল করে না। জনবসতিও তুলনামূলক কম। হঠাৎ ২/১টি মোটরসাইকেল চলাচল করে। সড়কটি এলজিইডির আওতাধীন। অথচ একই বিভাগের বেশ কয়েকটি সড়কের অধিকাংশ স্থান ভেঙে সিলকোট ও কার্পেটিং ওঠে গিয়ে যান চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে আছে বেশ কয়েক বছর। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অনাথ আশ্রম-মধ্যবোয়ালখালী সড়ক, মধ্যবোয়ালখালী-বটতলী বাজার সড়ক এবং হাচিনসনপুর সড়ক।

উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের আওতায় ১০টি পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে দীঘিনালা-ভাইবোনছড়া ভায়া বৌদ্ধপাড়া, আলমগীরটিলা পাকা সড়ক সংস্কারে ২.৮০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে সিলকোট কাজ চলছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে এ জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫১ লাখ টাকা।

উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী জিকো দেওয়ান ভালো সড়কে সিলকোট করানো প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাহ্যিক দৃষ্টিতে সড়কটি ভালো দেখা গেলেও সড়কের ছোট ছোট কণা ওঠে যাওয়া শুরু হলে সড়কটি দ্রুত ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সড়ক রক্ষার্থে সিলকোট করা প্রয়োজন হয়।’

জনবহুল এবং যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাঙা সড়কগুলো সংস্কার না করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এলজিইডির আওতায় সড়কগুলো তিন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম্যসড়ক। সব চাহিদা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও অধিক গুরুত্ব দিয়ে উপজেলা সদরের সড়কের জন্য বরাদ্দ এসেছে। ইউনিয়ন ও গ্রাম্য সড়কের বরাদ্দ না দেওয়ায় সেখানে কাজ করা যাচ্ছে না।’ সূত্র : কালের কণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়