ইনাম আহমেদ চৌধুরী : প্রধানমন্ত্রীতো ঘোষণা করেছেন পার্লামেন্টে, বিশেষ করে এটি পার্লামেন্টের ঘোষণা ছিল। এটি যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, সেহেতু এটি বাস্তবায়ন করা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। এর বাস্ত বায়ন যদি না হয়, তাহলে এটি আশ্চর্যের ও ব্যতিক্রম হবে। কারণ, পার্লামেন্টে সরকারি সিদ্ধান্তে ঘোষণা করা হয়েছে, সরকার ইচ্ছা করলে এটিকে পরিবর্তন করতে পারে, এটি আবার অন্য বিষয়। ঘোষণাটা অনুসারেই কাজ হবে। এছাড়া পরিবর্তন না করা পর্যন্ত ঘোষণাটা ঘোষণাই থেকে যাবে অর্থাৎ কোটা বাতিল বাতিলই থাকবে। আর একটা বিষয় বলা হয়েছিল, একটি সিদ্ধান্ত করে পরীক্ষার মাধ্যমে কি করে এসব বাস্তবায়ন করা যেতে পারে, তা ক্যাবিনেট সেক্রেটারি দেখবেন।
এখানে হয়তো মুক্তিযোদ্ধা, অনগ্রসর, প্রতিবন্ধী এদের কোনো ব্যবস্থা করতে পারেন। বিশেষভাবে তাদের সুযোগ দেওয়া হবে কিভাবে, সেটা দেখবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছে এবং সরকার কতৃক পরিবর্তন করা হয়েছে, ততক্ষণ এটাই চুড়ান্ত। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, কোটা বাতিল করা হয়েছে এবং তার কারণ তিনি বলে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটা থাকলে আবার আন্দোলন হবে, সাধারণ জনগণের চলাচলে অসুবিধা হবে। যাতে করে আর আন্দোলন না হয়, তাই একসাথে সব বাতিল করে দেওয়া হলো। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে সকল সাধারণ ছাত্রদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে, তা একদমই অন্যায় করা হচ্ছে। যাদেরকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের সাথে এটি খুবই অন্যায় হয়েছে এবং তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে ভালো করেছে।
পরিচিতি : ভাইস চেয়ারম্যান, বিএনপি/মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :