শিরোনাম
◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন ◈ চাঁদপুরে পিকআপ ভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:১৭ সকাল
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে কিছু কথা

মহিউদ্দিন আহমাদ : আগামী অর্থ বছরের বাজেট প্রণয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রাক্ বাজেট সভায় আলোচনা ও মতবিনিময় হচ্ছে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, চেম্বার অব কমার্স এবং অর্থনীতিবিদ ও বিজ্ঞজন সুচিন্তিত পরামর্শ দিচ্ছে। পত্র-পত্রিকা থেকে দেখা যায় বাজেট সংক্রান্ত প্রস্তাব ও সুপারিশ বিভিন্ন মহল থেকে দেওয়া হচ্ছে। অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে সবকিছু পরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করে যুগোপযোগী বাজেট প্রস্তাব তৈরি ও বিল চূড়ান্ত করা হবে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছে- এটা আমাদের গৌরবের, গর্বের। দেশে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এ লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে সুবিধাসহ বিনিয়োগবান্ধব বাজেট প্রণয়ন জরুরি।

আশার কথা, সরকার ইতোমধ্যে ব্যাংক সুদের হার কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে উন্নয়ন কর্মকা-ে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মক্ষেত্র বিস্তারের জন্য প্রেরণা লাভ করবে। সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে বাস্তব সম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে উন্নতির ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছা ত্বরান্বিত হবে।
বা

জেটের জন্য সিংহভাগ রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব রাজস্ব বোর্ডের উপর অর্পিত। বর্তমানে রাজস্ব বোর্ড সচেতনতার সঙ্গে করদাতাদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। হয়রানির ভয় না থাকলে দেশের স্বার্থে এ দেশের নাগরিকগণ ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না। দেশকে সকলেই দিতে চায়, কিন্তু ভয়-ভীতি তাদের বিমুখ করে রাখে। মামলা, জরিমানা বা হয়রানির ভয় দূর করে নতুন করদাতাদের এগিয়ে আসতে উৎসাহ দিতে হবে। কর না দেওয়ার কারণে বা কর ফাঁকি দেওয়ার কারণে কঠোর শাস্তির পরিবর্তে ন্যায্য কর দিয়ে সংশোধনের সুযোগ দিলে ‘কর নেটওয়ার্ক’ বিস্তৃত হবে।

বাজেটে যে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পরিবর্তে উপেক্ষিত থেকে যায়, তা হলো গত দু’যুগ আগে যারা অবসরে গিয়েছেন তাদের অপ্রতুল পেনশন প্রদান। এখন যাদের বয়স ৮০ বছরের ঊর্ধে তারা স্বল্প পেনশন পেয়ে অবসরে গিয়েছেন। সচিবের তখন বেতন ছিল দশ হাজার টাকা। বিভিন্ন গ্রেডে ৫০% পেনশন সমর্পণ করার পর অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী স্বল্প টাকা পেনশন পেয়েছে। এরপর কিছু বৃদ্ধি করা হলেও বর্তমানে প্রাপ্ত টাকা অতি নগণ্য।

অনেকে কষ্টে জীবন যাপন করছে, অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। তাদের বিষয়টি পরীক্ষা করে যথাযথভাবে পেনশন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আবার যারা ১৫-২০ বছর আগে ১০০% পেনশন সমর্পণ করে এককালীন টাকা নিয়েছেন তাদের অবস্থা নাজুক। সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে পুনঃআর্থিক সুবিধা দেয়া প্রয়োজন। বাজেটে এবিষয়টি গুরুত্বসহ বিবেচনা করলে অসহায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ কিছুটা স্বস্তি পাবে ।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়