রিকু আমির : মেডিকেল কলেজে ‘মেডিকেল’ বিষয়ক পড়াশোনা তো আছেই, এর সঙ্গে মাদকাসক্তি বিষয়ে অন্ততঃ প্রাথমিক জ্ঞান অর্জনের নিয়ম থাকা জরুরি বলে মনে করেন প্রখ্যাত মনো চিকিৎসক অধ্যাপক মোহিত কামাল।
বুধবার দুপুরে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজে একটি অনুষ্ঠানে মোহিত কামাল স্বশস্ত্র বাহিনীর মহাপরিচালক (মেডিকের সার্ভিসেস) মেজর জেনারেল মুন্সি মোহাম্মদ মজিবুর রহমানকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনাদের মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্তি বিষয়ে অন্ততঃ প্রাথমিক জ্ঞান দানের ব্যবস্থা করতে পারেন। কেননা, বর্তমানে মাদক এক ভয়াবহ সমস্যা। জঙ্গিবাদের পরই মাদকাসক্তি প্রতিরোধে সরকারের প্রচেষ্টা। আপনার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তো দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবায়ই নিজেকে নিয়োজিত করবে। মাদকাসক্তি বিষয়ে তাদের জ্ঞান থাকলে তারা সহজে বুঝতে পারবে, তার রোগী কোনো মাদকে আসক্তি কি-না অথবা রোগীর যে রোগ বা সমস্যা, তার জন্য মাদক দায়ী কি-না। এটা অত্যন্ত দরকার।
অটিজম সচেতনতার উপর এই বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্ট (বিএপি)। এ সংগঠনের সভাপতি ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ওয়াজির আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন- স্বশস্ত্র বাহিনীর মহাপরিচালক (মেডিকের সার্ভিসেস) মেজর জেনারেল মুন্সি মোহাম্মদ মজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, একসময় অটিজম নিয়ে দেশে সচেতনতা ছিল না বললেই চলে। কিন্তু এখন মানুষ সচেতন। যদিও এই সচেতনতা আরও দরকার। অনেকেই বোঝেন না, অটিজম কী। এতে তার সন্তান বা কাছের কেউ যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়।
অটিজম মোকাবিলায় আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের কমানড্যান্ট মেজর জেনারেল ফশিউর রহমানও সচেতনতার দিকে গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন- এই মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজুল ইসলাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ঝুনু শামসুন্নাহার বলেন, আমরা যখন অভিভাবককে জানাই, আপনার সন্তান, অটিজমে আক্রান্ত- তখন সেই অভিভাবকের যে কান্না বা আহাজারি আমরা দেখি, তা সহ্য করতে অনেক কষ্ট হয়। এতে আক্রান্ত শিশুরা বিশেষ, কাজেই তাদের যতœও বিশেষভাবে নিতে হয়।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফারুক আলম অটিজম মোকাবিলায় সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটা বিরাট এক সমস্যা। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা ড. সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছেন। এটা আমাদের দেশের মানুষকে চিনিয়েছে যে, অটিজম কী, কীভাবে এটি মোকাবিলা করতে হয়। অটিজম চিকিৎসায় সরকার সব সময় আন্তরিক। তাদের প্রতি বাড়তি দৃষ্টি দিতে আমাদের প্রতিও কড়া নির্দেশনা আছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসেবিলিটিজ প্রটেকশন ট্রাস্টের চেয়ারপারসন অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, অটিজম মোকাবিলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমরা অনেক অনেক এগিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :