রাশিদ রিয়াজ : ফ্রান্সের ন্যাশনাল ফ্রন্ট নেতা লি পেন বলেছেন, সিরিয়ায় হামলা করে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছেন। তিনি এ হামলার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, আমরা জানি কোনো রাসায়নিক অস্ত্র কারখানায় হামলা হলে তার আশেপাশে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঘৌতার দোমা শহরে আদৌ তেমন কিছু কি ঘটেছে! রীতিমত সন্দেহ প্রকাশ করে লি পেন বলেন, যেখানে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি হয় বা গুদামজাত করে রাখা হয় সেধরনের স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হওয়ার কথা। সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এতে। এটা বুঝতে কোনো বিশেষ জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। অথচ সিরিয়ায় হামলার পর দেশটির সরকার এধরনের কোনো প্রাণহানির দাবি করেনি।
একটি টেলিভিশনকে দেওয়া ওই সাক্ষাতকারে লি পেন আরো বলেন, আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স আমাদের ভিন্ন ধরনের বহুল গল্প বলছে। এধরনের গল্প যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা বছরের পর বছর শুনে আসছি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল ইরাকে ‘উইপন অব মাস ডিস্ট্রাকশনের’ কথা বলেছিলেন। যদিও এখন প্রত্যেকে স্বীকার করেন ইরাকে যুদ্ধ হয়েছিল এক মিথ্যার ভিত্তিতে। ইরাক যুদ্ধ ছিল এক ফাঁদ। ওই ফাঁদে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জ্যাকুয়েস সাইরাক পা দেননি। তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে তথ্যই দেয়া হোক, আমি তা পরখের পক্ষপাতি।
লি পেন বলেন, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সিরিয়ায় হামলা করে যে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছেন সে নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই। ম্যাক্রোঁ সিরিয়ায় হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক বৈধতার কথা বলছেন, কিন্তু এ নিয়ে তার ধারণার ব্যাপারে আমার বিস্তর সন্দেহ রয়েছে। তার আন্তর্জাতিক বৈধতার দাবি আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতেই হওয়া উচিত ছিল। এর আগে লি পেন সিরিয়ায় হামলার জন্যে তার দেশকে অবিশ্বাস্য ও নাটকীয় পরিণামের শিকার হতে হবে বলে আশঙ্কা করেছিলেন। গত ১৪ এপ্রিল সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স অন্তত ১’শ ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে যার ৭১টি আকাশেই ধ্বংস করার দাবি দেশটি করলেও পেন্টাগন বলছে এর প্রতিটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।স্পুটনিক
আপনার মতামত লিখুন :