শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:৫০ সকাল
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মিলান কন্স্যুলেটে আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত

ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি: বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করে। ১৭ এপ্রিল বিকেল ৫টায় কনস্যুলেট হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিলানে বসবাসরত বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা স্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। পবিত্র কোরআন ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ. বি. তাজুল ইসলাম-এর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে তিনি দেশবাসী ও প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। তিনি এই মাহেন্দ্রক্ষণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন ।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৭ এপ্রিল এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের প্রচলিত আদালতে বিচার ও রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি দায়মুক্ত হয়েছে। জেলখানায় নিহত চার জাতীয় নেতা হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ৭১-এর মানবতাবিরোধী যুদ্ধপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। আমরা পাকিস্তানি বাহিনী এবং তার দোসরদের নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ শুরুর দিন ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করছি। প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা বোনকে।

অতঃপর ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশি নের্তৃবৃন্দ ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে শপথগ্রহণকারী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সে সরকারের বীরত্বপূর্ণ অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলানের কনসাল জেনারেল মিস রেজিনা আহমেদ। বক্তব্যে শুরুতেই তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, সে সরকারের সকল মন্ত্রী, কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম সুসংগঠিত হয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় যা এ সংগ্রামে বিদেশী সমর্থন লাভে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তিনি ১০ এপ্রিল ১৯৭১ এর স্বাধীনতার ঘোষনা পত্রের, যার ভিত্তিতে পরবর্তীতে ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়, কয়েকটি বিশেষ দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু দেশ গঠনে পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্পাতদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। স্বাল্পোন্নত দেশের তালিকা হতে উত্তরণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের দিকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি সম্মুখ যাত্রার এ আয়োজনে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে অবদান রাখার জন্য আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, কনস্যুলেটের সকল সদস্য ও স্থানীয় কমিউনিটি নের্তৃবৃন্দ এবং আওয়ামী লীগ ও সহযোগী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় ঐতিহাসিক মুজিব দিবসের তৎকালিন প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী নেছার উদ্দিন,লোম্বারদিয়া আওয়ামী লীগের প্রথম সদস্য আকরাম হোসেন,সহ সভাপতি।দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, যুগ্নসম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ শিপন, জামিল আহমেদ,তুহিন মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আরফান শিকদার, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছাইদুর রহমান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। সবশেষে উপস্হিত সকলকে আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়