নূর মাজিদ: গত ৫ই এপ্রিল পূর্ব লন্ডনের হ্যাকনি সড়কে ধারালো ছুরির আঘাতে এক ব্যক্তি খুন হবার পর সোমবার রাত ১১.৫৫ মিনিটে আরেক ব্যক্তিকে একই কায়দায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি ১৮ বছরের তরুণ। তাকে লন্ডনের উত্তর ফরেস্ট গেট এলাকার রাস্তায় ধারালো ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনও তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি।
এদিকে এই মাসের শুরুতে তানিশা মেলবোর্ন নামের এক ১৭ বছরের কিশোরীকে লন্ডনের রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হয়, সে সময় আহত হয় আরেক কিশোর। ২০১৭ সালে লন্ডনের রাস্তায় প্রায় ৮০ জন ছুরিকাঘাতে নিহত হন। তবে, সাম্প্রতিক কালের হামলাগুলো মূলত তরুণদের উদ্দেশ্য করে পরিচালিত হচ্ছে। শুধুমাত্র ২০১৮ সালের শুরু থেকেই এখন পর্যন্ত পরিচালিত এসব হামলায় ১১জন তরুণ নিহত হয়েছেন। এদের অনেকেই অভিবাসী বা দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্রিটিশ নাগরিক। বিশ্লেষকদের ধারণা, ব্রিটিশ সমাজে অব্যাহত ইসলামিক সংস্কৃতির চর্চা সমাজের শ্রেণীকে ইসলাম ও অভিবাসী বিদ্বেষী করে তুলছে।
এ বছরের ২০ই ফেব্রুয়ারি ১৮ বছরের মিসরিয় অভিবাসী তরুণী মারিয়াম মোস্তফাকে বর্ণবাদী স্লোগান দিয়ে গণপিটুনিতে আহত করে একদল ব্রিটিশ নারী। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও সেখানকার চিকিৎসকেরা তাদের দায়িত্বে অবহেলা করেন এবং তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। বাড়ি ফেরার পর মস্তিস্ক ও ফুসফুসে রক্তক্ষরণে মারা যান মারিয়াম মোস্তফা। তার পরিবারের দাবী ,মারিয়ামের খুনিদের সুরক্ষা দিচ্ছে পুলিশ। গার্ডিয়ান
আপনার মতামত লিখুন :