শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:৩৩ সকাল
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাতিল অবাতিল কোটা : সাধু সাবধান!

অজয় দাশগুপ্ত : প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করার ভেতর আনন্দ খুঁজে নেওয়া মানুষেরা সব সময় এটা করেন। তারা দেশের যেকোনো ইস্যুকে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়ে তার বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে ভালোবাসেন। এদের আমরা চিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম দেখিনি। কোটা আন্দোলনের নামে যা হলো তার সারমর্ম বোঝা কঠিন কিছু না। ছাত্র-ছাত্রীরা কোমলমতি তাদের মনে যে রাগ, দুঃখ বা চাওয়া তার প্রতিফলন ছিল এই আন্দোলনে। তারা নিশ্চিতভাবে সুগঠিত ভবিষ্যৎ চায়। এমন দিনও ছিল যখন চাকরি ছিল সোনার হরিণ। সেই হরিণ ব্যতীত বাঁচাও সম্ভব ছিল না।
আজ সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে দেশে। চাকরির জন্য সেই হাহাকার থিতিয়ে এসেছে তবে ফুরিয়ে যায়নি। যখন আমরা যৌবনের  শেষ প্রান্তে তখন এসেছিল প্রাইভেট বা বহুজাতিক কোম্পানির জোয়ার। সেই জোয়ারে প্রাইভেট ব্যাংক আর এনজিওর চাকরি ছিল লোভনীয়। এরপর শতশত কোম্পানি আর মিডিয়ার যুগে ছেলেমেয়েরা ছুটল সেদিকে। সেগুলোতে না আছে কোটা, না কোনো আবদারের জায়গা। সরকারি চাকরিতে কোটা থাকার পেছনে যে কারণ সেগুলো ভুলেই আন্দোলনের নামে যে সব কা- তাতে নিরীহ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি-দাওয়া বড় না হয়ে বড় হয়ে উঠল রাজনৈতিক এজেন্ডা।

দেশে কোন ইস্যুটা স্বাভাবিক? মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে কথা থাকতেই পারে। একথা বলি না সেখানে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা  নেই। আছে এবং থাকবে। কিন্তু সে ইস্যুকে সমাধান করার পরিবর্তে এমন এক বৈরী পরিবেশ তৈরি করা হলো  যেখানে নারীর পা কাটা আরেকজনকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে প্রায় বিবস্ত্র করার মতো ঘটনায় কি স্বাভাবিকতা ছিল আসলে? উপাচার্য কি কোটা দেন? না এগুলো তার কাজ? এসব জানার পরও তার বাড়িতে হামলার কারণ কী? এগুলো আমরা সবাই জানি। খেয়াল করবেন এর মাধ্যমে রাস্তায় নেমে আসা যুবকের টি শার্টে আমি রাজাকার লিখে  দেওয়া হয়েছে। যেন রাজাকার হতে পারাটা আজ গৌরবের। কী সাংঘাতিক।

এর পেছনে কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শাস্তি এবং তাদের কোনঠাসা হবার ঘটনা নেই? নেই খালেদা জিয়া কারাগারে থাকার যন্ত্রণা? যদি নাই থাকে বিলেত থেকে ইন্ধনের দরকার কি? মূলত ওই যে বললাম এসবের একটাই উদ্দেশ্য  শেখ হাসিনাকে দুর্বল করা। মজার ব্যাপার এই এসব আন্দোলন বা ইন্ধনের পেছনে ছিলেন সুশীলেরা। আছেন দেশের রাজনৈতিক নেতারা। অথচ এদের কেউ কোনোদিন ধর্ষণ বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন করে উস্কে দেয়নি তারুণ্যকে। কারণ সেসব পাপে তাদের সবার ভাগ আছে, সায় আছে। প্রধানমন্ত্রী রাগে বা দুঃখে যে কারণেই হোক কোটা বাতিলের কথা বলেছেন। সেই বাতিল যদি আবার বিবেচনায় আসে তো ভালো, না আসলেও বলব, এমন কাজ করতে আপনারাই তাকে বাধ্য করেছেন। যা আর যাই হোক এদেশের ইতিহাস ও ভবিষ্যতের জন্য ভালো হতে পারে না।

আমার ধারণা হঠাৎ জ্বলে ওঠা দাবানল থামাতে এটাই ছিল জরুরি। যদি আমরা তার অতীত ও বর্তমানের কাজগুলো বিবেচনায় রাখি মানতে হবে তিনি দমে যাবার কেউ নন। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বা ইতিহাসও দমে থাকার কিছু না। যারা আপাতত শান্তি পেলেন তাদের একটাই  অশান্তি শেখ হাসিনার টিকি স্পর্শ করতে পারেননি। যতদিন তারা তা না পারবেন ততদিনই মঙ্গল। কারণ দেশ ও সমাজকে পুরো উল্টে দেওয়ার রাজনীতি আসলে রাজাকরেরা কি করবে সেটা একটু হলেও দেখা গেছে। সাধু সাবধান!

লেখক : কলামিস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়