হ্যাপী আক্তার: রাঙামাটির কর্ণফুলী পেপার মিল ক্রমাগত লোকসানে বন্ধ হওয়ার পথে। কাঁচামাল ও সংস্কারের অভাবে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ২শ কোটি টাকা। অর্থ সংকটের কারণে ঠিকাদারদের পাওনা আর শ্রমিকদের ৩ মাসের মজুরি বকেয়া পড়েছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।
দেশে কাগজ সরবরাহের অন্যতম উৎস রাঙামাটির কর্ণফুলী পেপার মিল স্থাপিত হয় ১৯৫৩ সালে। যাত্রার পর থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ছিল লাভজনক প্রতিষ্ঠান। পার্বত্য অঞ্চলের মুলি বাঁশ দিয়ে দৈনিক কাগজ উৎপাদন হতো ১৩০ মেট্রিক টন। কিন্তু কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়া আর বার বার যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এখন উৎপাদন মাত্র ১০ থেকে ২০ টন।
মিলের তিনটি ইউনিটের দুটি পুরো অচল। এতে কাগজ উৎপাদন কমে যাওয়ায় চরম অর্থ সংকটে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাভাবে বকেয়া হয়েছে কাঁচামাল সরবরাহকারীদের বিল। বকেয়া পড়েছে শ্রমিক-কর্মচারিদের তিন মাসের মজুরি।
মিলের তথ্যমতে, প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতির পরিমাণ এখন ৭শ থেকে ২শ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। তবে, বাকি ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন মনে করছে কেপিএম কর্তপক্ষ।
এদিকে পেপার মিলটি টিকিয়ে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন।
পেপার মিল বন্ধ হলে কর্মসংস্থান হারাবে কাপ্তাই অঞ্চলের কয়েকশ শ্রমিক। তাই মিলটি সচল রাখতে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেবে- এমনটাই আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন :