শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:৪১ রাত
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘দপ্তর ছোট থাকলেও পরিশ্রমের কোন কমতি ছিলো না’

জান্নাতুল ফেরদৌসী: বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, একটি আধুনিক রাষ্ট্রের সরকারের যেমন কাঠামো থাকে মুজিবনগর সরকারেও তেমনি একটি কাঠামো ছিলো। দপ্তর ছিলো খুব ছোট কিন্তু সেখানে পরিশ্রমের কোন কমতি ছিলো না।

১৭ই এপ্রিল। ১৯৭১ এর এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মুক্তিসংগ্রাম পরিচালনা থেকে শুরু করে বহির্বিশ্বে স্বীকৃতি আদায় করা সবই ছিল এর সরকারের কৃতিত্ব।

১৯৭১-এর এপ্রিল। রাজধানীর পর জেলায় জেলায় নিরীহ বাঙালীর ওপর আক্রমণের সীমানা প্রসারিত করছে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা। কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে আবার কোথাও সংগঠিতভাবে এ আক্রমণে প্রতিরোধ গড়ছে বীর বাঙালী।

রাজপথ থেকে কৃষকের সবুজ মাঠ যখন রঞ্জিত বাঙালীর রক্তে, তখন স্বাধীন বাংলার শেষ সূর্য অস্ত যাবার অভিশপ্ত পলাশী থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরের মুজিবনগরের বৈদ্যনাথতলার এক অখ্যাত আমবাগানে জন্ম নেয় রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বাংলাদেশ। সবুজের আচ্ছাদনের এ বাগানেই শপথ নেয় ১০ এপ্রিল গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার, প্রথম মন্ত্রীসভা।

কেমন ছিলো তখনকার পরিস্থিতি? জানালেন তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার প্রশাসক তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, 'গাড়ি বহর আসলো। প্রায় পঞ্চাশটা গাড়ি। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মিডিয়ার লোকজন আসলো। খুব তাড়াতাড়ি ঘটনাগুলো ঘটলো। কথা ছিলো মেজর উসমান গার্ড অব অনার দিবে। কিন্তু উনি আসছেন না। এমন সময় মাহবুবকে বললাম, তুমি একটা গার্ড অব অনার দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারো কিনা। তখন সে বললো, দেখি কি করা যায়। আনসার যারা ছিলো তারাও তো ট্রেনিং নিয়েছে। তাদের পায়ে জুতা নেই, মলিন কাপড় কিন্তু উৎসাহের কোন অভাব ছিলো না।'

পনেরোটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিয়ে স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করে এই সরকার। পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি, তার অবর্তমানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা করা হয় জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নাম।

বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম বলেন, 'সবসময় একটি স্বাধীন সরকারের মতো পরিচালনা করেছি। একটি আধুনিক রাষ্ট্রের সরকারের যেমন কাঠামো থাকে এরও তেমনই একটি কাঠামো ছিলো। দপ্তর ছিলো খুব ছোট কিন্তু সেখানে পরিশ্রমের কোন কমতি ছিলো না।'

মুক্তিযুদ্ধের এ সংগঠকরা বলছেন, শুধু যুদ্ধ পরিচালনা নয় বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামকে বাকি বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিলো এ সরকার।

তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, 'সিকিউরিটি কাউন্সিল তো বাদ দিলাম, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে কয়েকটি দেশ ছাড়া সবাই কিন্তু আমাদের বিপক্ষে চলে গিয়েছিলো।'

আর এইচ টি ইমাম বলেন, 'এই সরকারের অধীনেই আমরা কয়েক জায়গায় প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতিসংঘে আবার জ্যতিপাল মহাথেরো, ফকির শাহবুদ্দিনদের দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতিনিধি পাঠিয়েছি।

মুজিবনগর সরকারের চেতনা প্রেরণা যোগাবে প্রতিটি বাঙালিকে, আপোষহীন করবে নিরন্তর বলছেন এই দুই সংগঠক। সূত্র: সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়