শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:৪৩ সকাল
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুই সিটি ভোটে যত ফ্যাক্টর

ডেস্ক রিপোর্ট : একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দুই সিটির ভোটে বিজয় অর্জন এখন আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রধান টার্গেট। এই ভোটে যেমন সংসদ নির্বাচনের প্রভাব থাকবে, তেমনি ভোটাররাও নানা হিসাব-নিকাশ করছেন ভোটদানের ক্ষেত্রে। নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই সিটির ভোটেই দলীয় বিবেচনা প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে। সেই সঙ্গে গাজীপুর সিটিতে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে গার্মেন্ট কর্মী, সংখ্যালঘু, হেফাজতে ইসলাম, নতুন ভোটার এবং দুই দলের ভোটব্যাংক। অন্যদিকে খুলনায় ভোটের প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে বস্তিবাসী-শ্রমজীবী, জামায়াত-শিবির, ভাসমান, আঞ্চলিক ও জলাবদ্ধতা প্রবণ এলাকার ভোটারদের ভোট। আগামী ১৫ মে দুই সিটিতে একই দিনে ভোট হবে। ভোটের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটাররাও উৎসবমুখর ভোটের জন্য অপেক্ষায় আছেন। কারা হবেন এবারে সিটির মেয়র তা নিয়ে চলছে হিসাব-নিকাশ।

দলীয় বিবেচনায় গাজীপুরের প্রধান ফ্যাক্টর : গাজীপুর সিটির নগরপিতা নির্বাচনে ভোটাররা প্রথমত দলকেই বেশি বিবেচনায় নেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, রাজধানীর পাশের সিটি হওয়ায় দলকে বেশি বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে। সেই সঙ্গে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি তাই এবার সেটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে কাজ করবে। বিশ্লেষকদের মতে, জয়-পরাজয়ের প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে আরও কিছু বিষয় কাজ করবে। এর মধ্যে রয়েছে গার্মেন্ট কর্মী, সংখ্যালঘু ভোটার, হেফাজতে ইসলামের ভোট, নতুন ভোটাররা। বর্তমানে এই সিটিতে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। এর আগে ভোটার ছিল ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। সেই হিসাবে এবার এই সিটিতে নতুন ভোটার হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৭ জন। আর এই নতুন ভোটাররা মেয়র নির্বাচনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় দুই হাজারের বেশি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে তিন লাখেরও বেশি শ্রমিক কর্মরত। এদের প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় দেড় লাখ এই এলাকার ভোটার। ফলে সবারই প্রধান লক্ষ্য এই গার্মেন্ট কর্মী। তুরাগ নদের উত্তরে ক্রমবিকাশমান শিল্প মহানগরী গাজীপুরে রয়েছে দুই হাজারের বেশি শিল্প-কল-কারখানা, যার অধিকাংশ তৈরি পোশাক শিল্প। তিন লাখ নারী ও পুরুষ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন এসব ফ্যাক্টরিতে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জীবিকার সন্ধানে আগত বিপুলসংখ্যক শ্রমিকের মধ্যে অনেকেই এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এবং ভোটার হয়েছেন। ফলে গার্মেন্ট কর্মীদের সমর্থন টানতে দুই মেয়র প্রার্থীই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সেই সঙ্গে এই সিটিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের। এর আগের ভোটে তারা প্রকাশ্যে প্রচারেও অংশ নিয়েছে। এবারও তারা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এই সিটির ভোটের ফ্যাক্টরের বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গাজীপুরে ভোটের প্রধান ফ্যাক্টর হবে দলীয় বিবেচনা। দুই দলের জন্য এই সিটির ভোট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে বিএনপি এই নির্বাচনকে সংকট উত্তরণের প্রধান মাইলফলক হিসেবে নিয়ে কাজ করছে, অন্যদিকে এই সিটি হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। যদিও এর আগের নির্বাচনে তারা পরাজিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগ তাদের বিজয়ের জন্য কাজ করবে। তাদের দাবি তারা এত উন্নয়ন করেছে। তিনি বলেন, সেই সঙ্গে তরুণ ভোটাররাও এই সিটির জন্য ফ্যাক্টর।

ছয় ‘ফ্যাক্টর’ খুলনায় : খুলনা সিটির নগরপিতা নির্বাচন করতে নতুন ভোটার, বস্তিবাসী-শ্রমজীবী, জামায়াত-শিবির, ভাসমান ভোটার, আঞ্চলিক ভোট ও জলাবদ্ধতা ভোটের ক্ষেত্রে প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভোটাররা। এবারের নির্বাচনে দুই দলের শক্তিশালী প্রার্থী ভোটারদের মন জয় করতে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাও বিচার বিশ্লেষণ করছেন সাধারণ ভোটাররা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনা জেলা কমিটির সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রধান দুই দলের প্রার্থীই অনেক শক্তিশালী। তাই নির্বাচন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। তবে ভোটদানের ক্ষেত্রে ভোটাররা বেশকিছু বিষয়কে বিবেচনায় আনতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে খুলনার উন্নয়ন। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলাবদ্ধতা, ফুটপাথ সংস্কার, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান। তাই ভোটাররা এসব বিষয়কে আমলে নিয়ে ভোটের চিন্তা করছে। তিনি বলেন, খুলনাবাসী অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত। তাই ভোটাররা দেখছে কে মেয়র হলে খুলনার উন্নয়ন হবে। যিনি দ্রুত খুলনার উন্নয়ন তথা সিটির সমস্যা সমাধান করতে পারবেন তাকেই হয়তো ভোটাররা বেছে নেবেন।

তিনি বলেন, খুলনায় ভোটের ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে, (১) নতুন ভোটার। আর নতুন বা তরুণ ভোটাররা মূলত উন্নয়ন নিয়ে বেশি ভাবছে। (২) ভাসমান ভোটার। তাদের যদি সচেতন করা যায় তবে তারা সঠিক চিন্তার মাধ্যমে ভোট দেবে। আমরা তাদের সচেতন করতে কাজ করছি। (৩) আঞ্চলিক ভোটার। এদের মধ্যে বরিশাল, ফরিদপর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জের অনেক ভোটার রয়েছে। তারা আঞ্চলিক দিক বিবেচনা করেই ভোট দেবে।

খুলনা সিটি করপোরেশন গঠিত ৩১টি সাধারণ এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে। বর্তমানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৪। এর আগের নির্বাচনে ভোটার ছিল ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৬ জন। এ হিসাবে প্রায় ৫২ হাজার নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে এবারে নির্বাচনে। সেই সঙ্গে নগরীতে বস্তিবাসীদের ভোট এক লাখ বেশি, হিন্দু সমপ্রদায়ের ভোটার ৭০ হাজার এবং ৬০ হাজার ভোটার শ্রমিক, জামায়াত-শিবিরের ভোট রয়েছে প্রায় ৪০-৫০ হাজার। সুত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়