শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০৩:১৮ রাত
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০১৮, ০৩:১৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রত্যাবাসন নিয়ে নয়া ছলচাতুরি শুরু করেছে মিয়ানমার

তরিকুল ইসলাম : মিয়ানমার অংশের শূণ্য রেখো থেকে পাঁচ সদস্যর একটি পরিবারের দেশটিতে ফিরে যাওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরটি যে ভাবে চাউর হয়েছে তাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের নয়া ছলচাতুরি এবং সন্দেহর বিষয়টি আবারও ভাবিয়ে তুলছে বাংলাদেশকে।

কূটনীতিকরা বলছেন, প্রত্যাবাসন চুক্তির পর দেশটির এমন আচারণ সন্দেহ জনকতো বটেই বৈশ্বিক ফোরামকে বাগে আনারও এটি মিয়ানমারের একটি অপচেষ্টা। মিয়ানমারের একজন মন্ত্রীর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পরপর এই ঘটনাটা সত্যিই উদ্বেক জনক! এ জন্য সতর্কতার সাথে নতুন কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।

গত শনিবার রাতে মিয়ানমারের তুমব্রæ এলাকার চেয়ারম্যান আকতার আলম তার পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে তুমব্রæতে ফিরে। ২ ছেলে, ২ মেয়েসহ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন হলেও এরমধ্যে এক মেয়েকে রেখে যান। তাদের মিয়ানমারে যাওয়া নিয়ে প্রত্যাবসন প্রশ্ন উঠলে সেটিকে নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশে। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, নো-ম্যান্স ল্যান্ড থেকে পরিবারটির মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াটা কোনোভাবেই প্রত্যাবাসনের মধ্যে পড়েনা। এখানে প্রত্যাবাসনের কোনো প্রক্রিয়া যুক্ত ছিলোনা।

এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে কোন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে এমন তথ্য তাদের কাছে নেই। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা করা হয় নি। খবরে প্রকাশ হওয়া তথাকথিত প্রত্যাবাসনের সঙ্গে ইউএনএইচসিআরের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তবে মিয়ানমার সরকারে মুখপাত্র জ হতে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের খবর কোন প্রপাগান্ডা নয়। পরিবারটি স্বেচ্ছায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা তাদের দেখভাল করছি।

এ নিয়ে মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত অনুপ কুমার চাকমা বলেন, কদিন আগেই মিয়ানমারের একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ ঘুরে গেলেন। সবাই আশা করছিলো প্রত্যাবাসনে একটা গতি আসবে। কিন্ত সেটা না করে নয়া ছলচাতুরি শুরু করেছে মিয়ানমার। যে পরিবারটি সেখানে ফেরত গেলো তাদের পোষাক-আশাক দেখে স্মরনার্থী মনে হয়নি। ফেরত যাওয়া নিয়ে যেভাবে ফটোশেষন হলো সেটিও এক রকম প্রশ্ন। আন্তর্জাতিক চাপ কমাতেই মিয়ানমার এটিকে প্রত্যাবসন বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। দেশটির এমন আচারণ সন্দেহ জনক। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশকে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগোর ঘোষণা এবং কানডার প্রধানমন্ত্রীর মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত বব রে -এর সুপরিশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ যদি রোহিঙ্গাদের সত্যি আশ্রয় দিতে চায় এটা খুব ভালো দিক। কিন্ত খেয়াল রাখতে হবে এতে করে রোহিঙ্গারা যেনো মিয়ানমারে স্বেচ্ছায় ফেরত যেতে আগ্রহ না হারায়। তারা যদি কানাডা যাওয়ার সুযোগ পায় মিয়ানমারে ফেরত যেতে চাইবে না এটা খুব স্বাবাবিক। কারণ সেখানে রাস্তাঘাট নেই, আবাসন সুবিধা নেই, বিদ্যুৎ নেই। এসব বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। কোনো ভাবেই যেনো প্রত্যাবাসনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধা গ্রস্থ না হয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়