স্বপ্না চক্রবর্তী : দেশের সকল ল্যাবরেটরি, পরীক্ষণ ও সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠানে অভিন্ন আন্তর্জাতিকমান অনুসরণের লক্ষ্যে একটি মান কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে এ কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম শুরু করবে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুসংহত হবে।
সোমবার বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড আয়োজিত “আন্তর্জাতিক মান বা আইএসও ১৭০২৫:২০০৫ অনুধাবনবিষয়ক অষ্টাদশ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনকালে সচিব এ কথা জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) মহাপরিচালক মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ এনামুল হক, প্রশিক্ষণার্থী রোকসানা জান্নাত নওরিন ও জাকারিয়া চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
এসময় শিল্পসচিব বলেন, বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানি ক্রমেই তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশি পণ্যের গুণগতমান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। বিএবি’র কার্যক্রম গতিশীল করার ফলে ইতোমধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানির সক্ষমতা বেড়েছে। চলতি বছর সরকার ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা বাড়িয়ে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অ্যাক্রেডিটেড ল্যাবরেটরির মানসনদ ছাড়া পণ্য রপ্তানি সম্ভব নয় উল্লেখ করে শিল্পসচিব বলেন, ইতোমধ্যে দেশব্যাপী অ্যাক্রেডিটেশন ও মানবিষয়ক প্রচারণা জোরদার করা হয়েছে। ফলে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রায় সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিএবি’র পরিচিতি বেড়েছে এবং অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক ধারণার প্রসার ঘটেছে। বিএবি’র জনবলের দক্ষতা বাড়ায় এখন বিদেশি প্রশিক্ষক ছাড়াই ন্যূনতম খরচে বাংলাদেশে অ্যাক্রেডিটেশন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণ আয়োজন সম্ভব হচ্ছে। বিএবি’র আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের হিমায়িত চিংড়িসহ অন্যান্য শিল্পপণ্য কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কোর্সে দেশের সরকারি-বেসরকারি ২৫টি টেস্টিং, ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি, ও মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং পরিদর্শন সংস্থায় কর্মরত ৩০ জন অ্যাসেসর ও কারিগরি বিশেষজ্ঞ এতে অংশ নিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :