নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিদেশি লিগে খেলেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। এবার ভারতে গিয়ে শিলংয়ের এফসি সেথুতে। এবার সাবিনার সঙ্গে একই লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন কৃষ্ণা রানী সরকার। ভারতের ঘরোয়া লিগে সেথু এফসির হয়ে শিলং মাতিয়ে গত শুক্রবার দেশে ফিরেছেন এই দুই তারকা ফুটবলার।
ভারত থেকে দেশে ফিরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সাবিনা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আমাদের পারফর্ম্যান্সের কারণে আগামীতে আরো বেশি ফুটবলার ভারতে খেলার সুযোগ পাবে।’ অন্যদিকে কৃষ্ণা রানী এবারের সফরকে নিজের ক্যারিয়ারের শিক্ষা হিসেবে দেখছেন। ভারতীয় লিগ মাতিয়ে এসেও যেন মনে সুখ নেই এই দুই ফুটবলারের মনে। আসলে থাকে কিভাবে, বিদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত লিগ মাতালেও নিজ দেশে লিগ হয় না, এই নিয়েই আক্ষেপে পুড়ছেন দুই প্রমীলা ফুটবলার।
সেথু এফসিতে বিদেশি কোটায় খেলেছেন সাবিনা ও কৃষ্ণা। এই দলে ছিলেন আরো একজন বিদেশি- ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৃটিশ ফুটবলার টটেমহ্যাম হটস্পারের তানভি হ্যানস। তবে প্রথম ম্যাচ বাদ দিলে পরের সব খেলায় সেথু এফসির শুরুর একাদশে খেলেছেন সাবিনা। কৃষ্ণাকে কাটাতে হয়েছে বেশির ভাগ বেঞ্চে বসে। তবে তিনটি ম্যাচে বদলি হিসেবে খেলেছেন কৃষ্ণা। তাতেই অবশ্য খুশি এই তারকা। সেথু এফসির গোল মেশিনে পরিণত হয়েছিলেন সাবিনা খাতুন। টানা চার ম্যাচে ৬ গোল করে দলকে সেমিফাইনালে তুলেছিলেন তিনি।
ভারতীয় লিগের মান নিয়ে সাবিনা বলেন, ওদের প্রতিটি দলই প্রায় সমমানের। তাই লিগটাও হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। এই রকম লিগে খেলার সুযোগ পেলে মেয়েরা দ্রুত জাতীয় দলের জন্য তৈরী হতে পারবে। এজন্য দ্রুত লিগ আয়োজনের তাগিদ দেন সাবিনা-কৃষ্ণা। সাবিনার কারণে মাঠের বাইরে থাকলেও কৃষ্ণা বলেন, ‘কী করব, খারাপ লেগেছে কিন্তু কিছু করার তো ছিল না। বিদেশি একজনই খেলতে পেরেছে। আর সাবিনা আপু তো খেলেছেন, এতেই আমি অনেক খুশি। আর এখন তো আমার শেখার সময়।’
আপনার মতামত লিখুন :