মো. জয়নুল আবেদীন,আমতলী(বরগুনা): মামলা করে বিপাকে পরেছে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। মামলা তুলে নিতে মামলার বাদী মো. মাহমুদুল হাসান পিন্টু ও তার পরিবারের সদস্যদের জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছেন তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু ও তার সহযোগীরা।
মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগী মিন্টু সরদারকে দিয়ে বরগুনা দ্রুত বিচার আদালতে মিথ্যা মামলা করিয়ে হয়রানী করছেন। মামলার বাদী মো. মাহমুদুল হাসান পিন্টু এ অভিযোগ করেছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের অব্যাহত হুমকি ও মিথ্যা মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। এ ঘটনায় পিন্টু তালতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করছে।
মাহমুদুল হাসান পিন্টুর অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু তালতলী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি দখলের চেষ্টা করে। জমি দখলে বাঁধা দেয় তালতলী উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্টি অপারেটর ও সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মাহমুদুল হাসান পিন্টু। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু, তার ভাই ছোটবগী ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান তনু, তারেকুজ্জামান তারেকসহ ১০/১২ জন সহযোগী গত বছর ২৫ ডিসেম্বর মাহমুদুল হাসান পিন্টুকে পিটিয়ে তার দু’পা ও ডান হাত ভেঙ্গে দেয়। এক মাস বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
গত ২ ফেব্রুয়ারী হাইকোর্টের নির্দেশে মাহমুদুল হাসান পিন্টু তালতলী থানার মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দায়ের পরে পিন্টুর বাবা মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমানের পরিবারের উপর জীবন নাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা। এ মামলা তুলে নিতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে।
জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মাহমুদুল হাসান পিন্টু গত ১৭ ফেব্রুয়ারী তালতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টুর বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পিন্টুর পিতা মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান হাওলাদার, চাচা হাফিজুর রহমান হাওলাদার, রাহাত, মোঃ কামাল মোল্লা, মিঠু হাওলাদার ও ইলিয়াস জোমাদ্দার স্বাক্ষী দেয়।
এ স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগী মিন্টু সরদারকে বাদী করে গত ৩ এপ্রিল বরগুনা দ্রুত বিচার আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক এএইচএম মাহমুদুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার হিসেবে গন্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা মামলা তুলে নিতে আমার বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা বাবা ও পরিবারের সকলকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। এ ছাড়াও আমার মামলার স্বাক্ষী ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে স্বাক্ষী দেয়া স্বাক্ষীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
তিনি আরও বলেন, আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি কিন্তু পুলিশ ওই সাধারণ ডায়েরীর ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিন্তু বরগুনা দ্রুত বিচার আদালতে আমার মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগীর দায়ের করা মামলায় পুলিশ আমাদের হয়রানী করছে।
তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু মামলা তুলে নিতে জীবন নাশের হুমকি দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :