সান্দ্রা নন্দিনী: সিরিয়ার তিনটি রাসায়নিক গবেষণাগারে শনিবার ১০৫টি মিসাইল ছুঁড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সদরদপ্তর পেন্টাগনসূত্রে জানা যায়, গত ৭ এপ্রিল দেশটির দৌমা শহরে পরিচালিত রাসায়নিক হামলার সন্দেহের প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলো যৌথভাবে এ হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। কেননা, পশ্চিমাদেশগুলো প্রথম থেকেই দৌমায় বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহারের দাবি করে আসছে।
মার্কিন প্রশাসনঃ
মার্কিন প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা শনিবার সাংবাদিকদের জানান, তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য খবর রয়েছে যে দৌমার হামলায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সম্পূর্ণভাবে এ হামলার জন্য দায়ী। আর তারা পুরোপুরি নিশ্চিত যে ক্লোরিন ও স্যারিন দুই রাসায়নিক অস্ত্রই ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া, তাদের কাছে তথ্য-প্রমাণস্বরূপ ছবি ও ভিডিও রয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা আরও বলেন, আর তাছাড়া সেখানে কর্মরত ডাক্তার ও মানবিক সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও জানিয়েছে, তারা সেখানে কাজ করতে গিয়ে ক্লোরিনের তীব্র গন্ধ এবং স্যারিনের স্পষ্ট অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছে।
ফ্রান্সঃ
অন্যদিকে, ফ্রান্সের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে শনিবার জানানো হয়, দৌমায় ৭ এপ্রিল সিরিয়া বাহিনীর দ্বারা রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে। গোয়েন্দাদের সংগৃহীত নমুনা ফরাসি নিরীক্ষাগারে পরীক্ষা চালিয়ে ফ্রান্স পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছে হামলায় রাসায়নিক অস্ত্রই ব্যবহৃত হয়েছে। আর হামলাটি সিরীয়বাহিনী দ্বারাই পরিচালিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিরিয়ার রাসায়নিক হামলায় দায়ী কে তা নতুন স্বাধীন তদন্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্রান্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন শনিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করে।
এর আগে, শুক্রবার ৪৫টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছিলো, সিরিয়ায় বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখতে যেন একটি তদন্তদল গঠন করা হয়। ইয়ন নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :