শাম্মী আক্তার : ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা সংস্কার চেয়েছিল, তারা কোটা বাতিল চায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি যে কোটা বাতিল করে দিলেন, এর মধ্যে তার কোর রাজনৈতিক চাল আছে। তিনি কোটা বাতিল করে দেওয়ায় কোন ছাত্রছাত্রী তা ভাল চোখে দেখছে না। ছাত্র-ছাত্রীরা পরিস্কার ভাষায় আন্দোলন করেছিল। ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা সংস্কার চেয়েছিল, তারা কোটা বাতিল চায়নি। কোটা সংস্কার মানে কোটা বাতিল নয় । একোটা বাতিল করে দেওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই কোন রাজনৈতিক খারাপ উদ্দেশ্য আছে।
এটি শুভঙ্করের ফাঁকি বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যারা আছেন, তাদের সাথে একটি আলোচনার মাধ্যমে সমধান করতে পারতেন। জেলা কোটা, নারী কোটা, উপজাতি কোটা, প্রতিবন্ধি কোটা, সব কোটা থেকে কমিয়ে এনে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার স্থানটি বাড়িয়ে দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে সবাই এ বিষয়টা ভালভাবে নিতেন। এবং কোটা সংস্কারের আন্দোলনের সমাধান হত। প্রধানমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর রাগ দেখিয়ে রাগের বর্শবর্তী হয়ে কোটা বাতিল করে দিলেন। এমন একটি ডিসিশন নিলেন, তার কোন সমাধান হলো না।
প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণায় কোন মহৎ উদ্দেশ্য আছে বলে আমার মনে হয় না। যেখানে সুফিয়া কামাল হলের সভাপতি ইশা যে মুর্শেদা কে পায়ের রগ কেটে দিলেন, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী কোন কথা বলে না। ঢাকা ভার্সিটির ভিসির বাড়িতে হামলা হয়েছে, সেখানে তিনি নিন্দা জানিয়েছেন। আমরা বিএনপিও নিন্দা জানিয়েছি। কোটা সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সমাধান করবেন কি, তিনি আরো সমস্যা কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়, সেটি তিনি করেছেন।
পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি/ মতামত গ্রহণ : রাশিদুল ইসলাম মাহিন/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :