শিরোনাম
◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি

প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:০১ রাত
আপডেট : ১৬ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুই সিটিতেই আ.লীগের পরাজয়ের আশংকা

আবুল বাশার নূরু: দলীয় কোন্দল ও বিরোধ নিরসনের কার্যত কোনও উদ্যোগ না নিয়েই গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট যুদ্ধে নেমেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগামী ১৫ মে একইদিনে অনুষ্ঠিত হবে দুই সিটির নির্বাচন। আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু না হলেও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা গণসংযোগে নেমেছেন। কিন্তু দলের বঞ্চিত নেতাকর্মীদের থেকে তারা তেমন সাড়া পাচ্ছেন না। দুই সিটিতেই আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিরোধ প্রকট হয়ে উঠেছে।

২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের হারিয়ে বিএনপির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। দলীয় নেতাদের অসহযোগীতার কারনেই পরাজিত হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন আওয়ামী লীগের দুই মেয়র প্রার্থী। খুলনা সিটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক এবার মনোনয়ন পাওয়ার আগে ২০১৩ সালের নির্বাচনের পরাজয়ের জন্য দলীয় নেতাদের অসহযোগীতার কথা বলেছেন। মেয়র পদে নির্বাচন করতে অনেকটা অনীহা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছে খালেক।

২০১৩ সালের নির্বাচনে খুলনা সিটিতে ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ জন। মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনি পেয়েছিলেন ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৩ ভোট। আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার খালেক পেয়েছিলেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২২ ভোট। এবারের নির্বাচনে নতুন ভোটার বেড়েছে ৫২ হাজার ৫২৭ জন। এই নতুন ভোটাররাই জয় পরাজয়ের বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। খুলনা সিটি এলাকার বড় অংশই সদর আসন। এই আসনটি বিএনপি দূর্গ হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ নির্বাচন পর্যন্ত এখানে জয়ী হন বিএনপির প্রার্থীরা। ২০১৪ সালের বিনাভোটে জয়ী হন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। তালুকদার খালেকের সঙ্গে মিজানুর রহমানের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এছাড়া আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা অনেকেই অভিমানে দলীয় কর্মকা- থেকে দূরে সরে রয়েছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে তালুকদার খালেক দলের বর্ধিতসভা ডেকেছিলেন। জানা গেছে সেই সভায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

গাজীপুর সিটিতে মেয়র পদে ২০১৩ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন এ্যাডভোকেট আজমতউল্লাহ খান। মোট ১০ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৯ ভোটের মধ্যে বিএনপি প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল মান্নান ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। আজমতউল্লাহ খান পেয়েছিলেন ২ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৭ ভোট। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। এই সিটিতে মেয়র পদে নতুন মূখ এনেছে আওয়ামী লীগ। দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। জানা গেছে, আজমতউল্লাহ খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জাহাঙ্গীর থেকে দূরে রয়েছেন। এছাড়া গাজীপুর সদর আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেল নির্বাচনের ব্যাপারে এখনও নিরব রয়েছেন। দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করার ব্যাপারে তেমন আগ্রহ নেই দলটির ত্যাগী নেতাকর্মীদের। গতবারের চিত্রই দেখা যাচ্ছে, নেতারা দায়সারা প্রচারণা চালাচ্ছেন এমন মন্তব্য শোনা গেল অনেকের মূখেই।

আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা এই প্রতিবেদককে বলেন, খুলনা ও গাজীপুরের দলীয় বিরোধ মেটাতে হলে সরাসরি শেখ হাসিনাকেই উদ্যোগ নিতে হবে। বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কিংবা যুগ্ম সম্পাদকদের ওপর দায়িত্ব দিলে দলীয় বিরোধ মিটবে না। একাধিক নেতা বলেন, খুলনাতে তেমন সমস্যা নেই। তবে বড় সমস্যা গাজীপুরে। সেখানে ভোটার সংখ্যা বেশী। আর ভোটাররা বেশিরভাগই ভাড়াটিয়া। তাদের ভোট দলীয় প্রার্তীর পক্ষ্যে আনতে স্থানীয় নেতাদের ভূমিকাই বেশী। তাই নেতাকর্মীদের মান অভিমান ভাঙ্গানোর চেষ্টা করা জরুরী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়