শিমুল মাহমুদ, রাজশাহী থেকে : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, গণতন্ত্র,মানুষের ভোটের অধিকার, খালেদা জিয়ার মুক্তি একই সুতোয় গাথা। তাই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনলে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে এবং মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগনকে বাইরে রেখে ২০দলীয় জোটকে বাইরে রেখে।নির্বাচন হতে দেয়া যাবে না।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রোববার (১৫ এপ্রিল) রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কতৃক আয়োজিত বিভাগীয় সমাবেশে এসব কথা বলেন।
মোশাররফ বলেন, আজকে যদি নিরপেক্ষ ভোট হয় তাহলে আওয়ামী লীগকে জনগণ আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। সেজন্য শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে ভয় পায়, জনগণকে ভয় পায়।
আগামী নির্বাচনে বিএনপি ছাড়া এদেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না। তাই আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। খালেদা জিয়াকে ছাড়া সেটা কি হতে পারে? এসময় জনগণ না সূচক উত্তর দেয়। তখন ড. মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া এদেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা কেউ জানতাম না, হঠাৎ করে একটা আন্দোলন হলো। আগামী দিনে গণতন্ত্রের আন্দোলন, জনগণের অধিকারের আন্দোলনও সেরকম হবে। জনগণ যখন রাস্তায় নামবে তখন তারা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে। সেই আন্দোলনে রাজশাহীবাসীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, নির্বাচনে যেতে চাই তবে কোন পাতানো নয়, আমারা খালেদা জিয়া ছাড়া কোন নির্বাচনে যাব না। তাকে মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেই নির্বাচনে যাবো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,সমুদ্রের পানি বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা যায় না।ছাত্রলীগ, যুবলীগ,আওয়ামী পুলিশবাহিনী কোটা আন্দোলনে বাধা দিলেও আটকাতে পারেনি, যুবসমাজ তেমনি একদিন আসব কিছু উপেক্ষা করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েস্বর চন্দ্র রায়, আমাদের প্রয়োজন গণতন্ত্র মুক্ত করা। আজ যারা আমাদের ঘুম হারাম করেছে, তাদের ঘুম হারাম করার ব্যাবস্থা করেন।
অন্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন,ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রমুখ।
ছোট মাঠে বিশাল আকারের মঞ্চ নির্মাণ, ৮ জেলা ও ১০টি সাংগঠনিক জেলার নেতাকর্মীর জায়গা না হওয়ায় পার্কের আশে রাস্তায়, বিভিন্ন ভবনের ছাদে বিএনপির কর্মীদের উপস্থিতি ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :