ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার চরাঞ্চলে বিদেশি সবজি ক্যাপসিক্যামের চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অল্প সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় বিদেশী এ সবজি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। তবে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ আর কৃষি বিভাগ থেকে তেমন কোন সহায়তা পাচ্ছেনা চাষিরা।
মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চরে ৬ বছর আগে সদর উপজেলার কাচিয়া এলাকার মনির পাঠান প্রথম ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেন। তিনি ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে ক্যাপসিকাম আমদানি করে ঢাকায় ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ক্যাপসিকাম চাষের পদ্ধতি দেখেন, এক পর্যায়ে নিজেই আবাদ শুরু করেন।
এখন এ চরে ১২ জন চাষি প্রায় ১২ একর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। ভালো লাভ হওয়ায় দিন দিন এ সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
মধ্যবর্তী চরাঞ্চলে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে চাষিরা সবজি ফলাতে গিয়ে অনেক ঝুঁকি নিয়ে থাকেন। তাদের দাবি- চরগুলোতে সরকারিভাবে বেঁড়িবাধ দেয়ার ব্যবস্থা করা হলে জোয়ারের পানিতে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা কমবে।
যথাযথ তদারকি ও সহায়তা করা হলে ভোলায় ক্যাপসিক্যাম চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের হিসাব মতে গত বছর ৫ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিক্যাম চাষ হয়েছিল এ বছর হয়েছে ১১ হেক্টর জমিতে।
আপনার মতামত লিখুন :