ডেস্ক রিপোর্ট : মধু চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন মাওলানা মো. শাহজাহান। পরিশ্রম ও সততাকে পুঁজি করে তিনি এগিয়ে চলেছেন। মৌচাষ করে প্রতি মৌসুমে তার আয় হচ্ছে লক্ষাধিক টাকা। এর থেকে তার সংসারে ফিরে এসেছে সুখ, স্বাছন্দ্য। তার সাফল্য দেখে আরও অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এলাকার একাধিক বেকার যুবক মৌচাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
শাহজাহান পেশায় মসজিদের ইমাম। বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বড় গোপালদি গ্রামে। বর্তমানে তিনি মধুখালী পৌর সদরের পূর্ব গোন্দারদিয়া গ্রামের (কলেজপাড়া) গ্রামে বসবাস করেন। তিনি সরকারি আইনউদ্দিন কলেজ মসজিদের ইমাম ও খতিব। সেই সঙ্গে তিনি একজন সফল মৌচাষি। শাহজাহান ১৯৯৩ সালে দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার পর বিসিক ফরিদপুর থেকে মৌচাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের লেখাপড়া চালিয়ে যান। কামিল (এমএ) পাস করার পর একটা চাকরি খুঁজতে থাকেন। তখন সে ছাড়াও দুই ছেলে, স্ত্রী বাবার সংসারের ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে সরকারি আইনউদ্দিন কলেজের মসজিদে ইমামের চাকরি হয়। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ২০০৪ সালে মধুখালীতে এসে বসবাস করেন। ইমামতি করার সুবাদে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ঢাকা থেকে ইমাম প্রশিক্ষণ ও মৌচাষসহ মোট ছয়টি বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে গ্রামে এসে মৌচাষ শুরু করেন তিনি।
শাহজাহান জানান, তিনি ও তার ভগ্নিপতি জেলার সদর উপজেলার পরমান্দপুর গ্রামে প্রথমে তিনটি বক্স দিয়ে মৌচাষ শুরু করেন। কয়েক মাসের ব্যবধানে ৩০টিতে দাঁড়ায়। তিনি আরও জানান সরিষা, লিচু, কুল, কালিজিরা, আম-কাঁঠালের মৌসুমে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মৌবক্স স্থাপন করেন। বছরে মৌচাষে শাহজাহানের আয় হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা। তিনি জানান, ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ভালো মধু পাওয়া যায়। এ চার মাস সপ্তাহে প্রতি বক্স থেকে ৫ কেজির উপরে মধু সংগ্রহ করা হয়। শাহজাহানের মৌখামার থেকে সপ্তাহে ৩ মণ ৩০ কেজি মধু সংগ্রহ করা হয়। তিনি প্রতি কেজি মধু ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেন। মৌসুমে শাহজাহানের ৩০টি মৌ বক্স থেকে গড়ে ৪০ মণ পর্যন্ত মধু পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, স্বল্প খরচে মৌচাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। সূত্র : আলোকিত বাংলাদেশ
আপনার মতামত লিখুন :