সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকটি ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং আবাদি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার পরে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর শিলাবৃষ্টি থামলেও প্রায় ঘন্টাব্যাপী কালবৈশাখীর তা-ব চলে। ফলে উপজেলার রামখানা, সন্তোষপুর ও রায়গঞ্জ ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং গাছপালা ভেঙে যায়। এসময় ঝড়ের কবলে পড়া এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
রায়গঞ্জ ইউনিয়নের দোলাপাড় গ্রামের দিনমজুর রফিজ উদ্দিন ঘরের চাল হারিয়ে এখন দিশেহারা। নতুন বছরের প্রথম রাতে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হবে তাকে।
রফিজ জানান, ‘নয়া বছর হামাক খোলা ভিটাত থাকা লাগছে। মনে হয় দানব আসিয়া হামার ঘর উড়ি নিয়া গেল। কোনও রকম জানে বাঁচচি। এলা কেমন করি ঘর ঠিক করমো সেই চিন্তায় বাচিনা।’
একই ইউনিয়নের শিয়ালকন্দা গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, ঝড়ে তার দোকানের ঘরের চাল ছুটে গেছে। ফলে বৃষ্টির পানিতে দোকানের সব মালামাল ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। ওই বাজারের আরও কয়েকটি দোকান ঝড়ে ভেঙে গেছে বলে জানান হাবিবুর।
রামখানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম সরকার জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তার ইউনিয়নের শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঝড়ে ঘর হারিয়ে অনেকে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছে।
রায়গঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ওয়ালিদ বলেন, ‘রাত পর্যন্ত যতটুকুু খবর পেয়েছি তাতে প্রায় ৭০-৮০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে যে ঝড় হয়েছে তাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।
এদিকে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নেও কালবৈশাখী ঝড়ের খবর পাওয়া গেলেও শনিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :