মতিনুজ্জামান মিটু : বৈশাখি উৎসবে বেড়েছে পাটপণ্য ব্যবহারের উৎসাহ। বিশেষ করে যুব সমাজ এবারের বৈশাখিতে পাটপন্য ব্যবহারে বেশি উৎসাহি হয়েছেন। বাংলা নববর্ষের আনন্দে মাতোয়ারা হতে তারা পাটের শাড়ি, ওড়না, পাঞ্জাবী, ফতুয়া, ড্রেস, কানের দুল, গলার মালা, হাতের চুড়ি, মুখ দেখার আয়না ও ব্যাগসহ নানা ধরনের পাটপণ্য সংগ্রহ করেছেন। চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে বৃহস্পতি ও শুক্রবারে(১২ ও ১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ১৪৫ মনিপুরি পাড়ার জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে বসে বহুমুখি পাটপণ্যের একক বেশাখি মেলা। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জিডিপিসি) এ মেলা আয়োজন করে। মেলায় পাটপণ্যের ৪১টি প্রতিষ্ঠান স্টল সাজিয়ে বসে। তেমন প্রচার না হলেও বিপুল সংখ্যাক ক্রেতা ও দর্শকের উপস্থিতি দু’দিনের এই মেলার গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর জুট এন্ড টেক্সটাইল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট সেন্টার উইং এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তারিক হোসেন বলেন, যদিও তেমন প্রচার হয়নি তবুও মেলায় ভালই বেচা কেনা হয়েছে। এবারই প্রথম এই ভেনুতে এধরনের মেলা আয়োজন করা হয়েছে। ওড়না, স্যালোয়ার, কামিজ ও গহনাসহ অনেক কিছুই পাট দিয়ে তৈরী করা সম্ভব। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান আকর্ষনীয় ও দৃষ্টি নন্দন পাটপণ্য তৈরী করে বাজারে এনেছে। বর্তমানে বৈশাখিসহ নানা উৎসবে যুবসমাজের মধ্যে এসব পাটপণ্য ব্যবহারের উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান পাটের ব্যাগে করে ললনাদের বৈশাখি শাড়ি বিক্রি করেছে। মেলায় ৩০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দামে কানের দুল, গলার মালা, হাতের চুড়িসহ পাটের তৈরী গহনা বিক্রি হয়েছে। মেলায় আগত একটি ষ্টলের মালিক ও ডিজাইনার রুবিনা আকতার মুন্নি বলেন, আমার স্টলে পাটের শাড়ি, পাঞ্জাবী, ড্রেস ও ব্যাগসহ নানা পাটপণ্য উঠিয়েছিলাম। বিক্রি ভালই হয়েছে। প্রতিটি শাড়ি ১৮০০ থেকে ৩০০০ টাকায় ও পাঞ্জাবী ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার(১৩ এপ্রিল) সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ মেলা শেষ হয়।
আপনার মতামত লিখুন :