হাসিব বিল্লাহ: রাত পোহালেই নতুন বছর ১৪২৫। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সারা দেশের মানুষ। নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে রাজধানীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। তাই বাঙালি ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছে চারুকলার শিল্পীরা। নাচ গান আবৃত্তি ও অভিনয়ের মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছে সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পাওয়ার পর মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপনে সর্বশেষ প্রস্তুতি হিসাবে চারুকলা অনুষদে চলছে মহা কর্মযজ্ঞ। ছাত্র-শিক্ষক সবাই নানা কাজে ব্যস্ত। এবারের শোভাযাত্রায় বড় প্রতীক থাকবে টেপাপুতুলের আদলে গড়া পাখি ও ছানা এছাড়া জেলে, হাতি, সাইকেল, পুতুল, বক ও মাছ, মহিষ, সূর্য, মা পাখি, রাজা রানি, পুতুলসহ ভাস্কর্য। মানুষে মানুষে বিভেদ দুর করার জন্য এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য লালন সাইয়ের গানের চরণ, মানুষ ভজলে সেনার মানুষ হবি। শোভাযাত্রা সকাল নয়টায় হবে চারুকলা অনুষদ থেকে। অত:পর শাহবাগ মোড়, শিশু একাডেমী ঘুরে টিএসসি চত্বর দিয়ে এসে আবার চারুকলায় শেষ হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা।
এছাড়া চারুকলার বকুলতলায় বৈশাখী উৎসব আয়োজন করেছে চারুকলা অনুষদ। শুক্রবার বিকেল চারটায় শুরু হয় চৈত্রসংক্রান্তির লোকগানের আসর দিয়ে। তিন দিন পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন।
বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ছায়ানট। শেষ প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার বিকেলে করেছে চূড়ান্ত মহড়া। এবারের আয়োজনে গান-কবিতায় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে মানবতাবাদকে। এ লক্ষ্যেই রমনার বটমূল সাজছে বর্ষবরণের রঙে। এ মঞ্চে বসেই বর্ষবরণের প্রভাতী অনুষ্ঠানে গান করবেন ছায়ানটের শিল্পীরা। এবার পহেলা বৈশাখের প্রভাতী অনুষ্ঠান ভোর সোয়া ৬টায় শুরু হবে বাঁশির সুরে ।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট পয়লা বৈশাখ অনুষ্ঠানের আয়োজেন করেছে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে। বিকাল চারটা থেকে সন্ধা সাতটা পর্যন্ত নাচ, গান, কবিতা অভিনয়সহ নানা আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করবে তারা।
এছাড়া নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পহেলা বৈশাখের দিন সকালে ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী অনুষ্ঠান কবে শিশু একাডেমীর সামনে নারকেলবীথি চত্বরে। শিশু কিশোরদের নিয়ে থাকবে বিশেষ আয়োজন। অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানান সংগঠনের সভাপতি গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর।
পুরানো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরের প্রথম দিন নবউল্লাসে মেতে উঠবে বাঙ্গালীরা। বিগত দিনের সকল ভেদাভেদ ভুলে জঙ্গিবাদ মুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধি বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নতুন সূর্য উঠবে ১৪২৫ বর্ষের।
আপনার মতামত লিখুন :