এম এ রাশেদ: অস্ট্রেলিয়ায় কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের ক্রীড়াবিদেরা দারুণ করছেন। এখনো পর্যন্ত তাদের অর্জন ১৬টি সোনার পদক। কিন্তু সোনা জয়ের সাফল্যে কালির ছোপ হয়ে দেখা দিচ্ছে সুচ-বিতর্ক। এই কান্ডে দুই ভারতীয় অ্যাথলেটকে বহিষ্কার করেছে কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষ।
‘সুচ’ কেলেঙ্কারি হুল হয়ে বিঁধেছে দেশটির ক্রীড়াঙ্গনে। এর আগে গোল্ডকোস্টে গেমস ভিলেজে ভারতীয় বক্সারদের কামরার বাইরে ডাস্টবিন থেকে প্লাস্টিকের বোতলের মধ্যে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ খুঁজে পাওয়ায় বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার সুচ পাওয়া গেছে অ্যাথলেট রাকেশ বাবু ও ইরফান কোলথুম থোডির কামরায়। গেমস ভিলেজে তাদের কামরায় একটি কাপের মধ্যে সুচ আবিষ্কার করা হয়। কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন (সিজিএফ) আজ খবরটি নিশ্চিত করেছে।
কমনওয়েলথ গেমসে ডোপিং প্রতিরোধে ‘নো নিডল পলিসি’ অর্থাৎ কোনো ধরনের সিরিঞ্জ বা সুচ ব্যবহারের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ট্রিপল জাম্পার বাবু ও হাঁটা প্রতিযোগী থোডিকে তাই গোল্ডকোষ্ট থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তার আগে সিজিএফ সভাপতি লুইস মার্টিনের শুনানিতে এ দুই অ্যাথলেটের ও ভারতীয় বহরের আরও তিন অফিশিয়াল হাজির হন।
শুনানি শেষে মার্টিন বলেন, ‘অ্যাথলেটদের ভাষ্য বিশ্বাসযোগ্য নয় এবং চাতুর্যপূর্ণ। রাকেশ বাবু ও ইরফান কোলথুম থোডি “নো নিডল” আইন ভেঙেছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাদের গেমসে অংশ নেওয়া থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং গেমস ভিলেজ থেকেও বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা ভারতের কমনওয়েলথ গেমস কর্তৃপক্ষকে বলেছি অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রথম ফ্লাইটেই তাঁদের ফেরত পাঠাতে।’
এদিকে কমনওয়েলথ গেমস সুচ-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার অপরাধে দুই ভারতীয় অ্যাথলেটকে বহিষ্কার করায় কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন (সিজিএফ) এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া।
এ বিষয়ে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক কে সি ওয়ালসন বলেন, ওই দুই অ্যাথলেটকে ফেডারেশন যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদান করবে। এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক পরিস্থিতি। চলতি গেমস শেষ হওয়ার পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং এর নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :