শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৮:৫২ সকাল
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৮:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রার্থীদের

ডেস্ক রিপোর্ট : গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এ দিন ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। গাজীপুরে বিএনপির হাসানউদ্দিন সরকার এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমসহ ৬ জন মেয়রপদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। খুলনায় মেয়রপদে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক ও বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ৫ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনও তা থেমে থাকেনি। সকাল থেকেই একাধিক মেয়রপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা মিছিল সহযোগে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আসেন। প্রার্থীদের এমন শোডাউনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে আশঙ্কা করেন অনেক ভোটার। রিটার্নিং কর্মকর্তা অভিযোগ পেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দিয়ে তার দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার, পোস্টারে ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। দফায়-দফায় প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল, সমাবেশ করেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যানার, ফেস্টুন অপসারণে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও নির্ধারিত তারিখের আগেই মিছিল, মিটিংসহ নানা আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মিছিল-শোভাযাত্রার ছবিসহ জাতীয় দৈনিকগুলো আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে খবর প্রকাশ করার পরও নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার সুযোগে আচরণবিধি লঙ্ঘন থেমে নেই নির্বাচনী এলাকায়। গতকাল সকাল থেকেই একাধিক মেয়রপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা মিছিল সহযোগে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আসেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয় বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
সকালে বিএনপি প্রার্থী হাসানউদ্দিন সরকার মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুল, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন সরকার, ডা. মাজহারুল আলমসহ বিএনপি নেতারা।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে হাসানউদ্দিন সরকার বলেন, এ নির্বাচনে অবশ্যই আমরা সেনা মোতায়েন চাই। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এখানে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এমন প্রত্যাশা করি। এক প্রশ্নে হাসানউদ্দিন সরকার বলেন, রাজনীতি হচ্ছে আগামী প্রজন্মের জন্য। তাদের কল্যাণ, সুখ-সমৃদ্ধি ও স্বপ্নপূরণই হচ্ছে রাজনৈতিক দলের পূর্ণ শক্তি।
দুপুর দেড়টার দিকে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তার সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমতউল্লাহ খান, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি। ১৫ মে সিটির সব নাগরিককে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা গাজীপুর সিটিকে একটি আধুনিক সিটি করপোরেশন গড়তে চাই। এখানে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে তাদের কর্ম করতে পারবে।
একই দিন মনোনয়নপত্র জমা দেন ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মাওলানা ফজল্রু রহমান, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী নাসির উদ্দিন। এর আগে গতকাল জাসদের দলীয় মনোনীত মেয়রপ্রার্থী রাশেদুল হাসান রানা দুপুরে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ ছাড়া গত বুধবার বিকাল পর্যন্ত ১৬৩ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরপ্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন ১৮ মেয়রপ্রার্থী এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরপদে ৯৭ এবং সাধারণ কাউন্সিলরপদে ৩৮৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
খুলনা প্রতিনিধি জানান, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়রপদে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক ও বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ৫ জন মেয়রপদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত তাদের পাশাপাশি ১৪৫ জন কাউন্সিলর মনোনয়নপত্র জমা দেন। কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী ওইসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
তালুকদার আবদুল খালেক দলীয় মেয়রপ্রার্থী হিসেবে বেলা সোয়া ২টায় মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার থেমে যাওয়া উন্নয়নকে পুনরায় চালু করতেই আমাকে মেয়রপদে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিফলন আর খুলনার উন্নয়নে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে চাই।
এ সময় তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এসএম কামাল হোসেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক শেখ সোহেল, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজী আমিনুল হক, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, নগর যুবলীগ আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান পপলু, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বিকাল ৪টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশ এবং আগ্রহী সব প্রার্থীর প্রতিনিধি হিসেবে আমি মেয়রপদে প্রার্থী হয়েছি। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হবে এ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আদৌ সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে কিনা। এই ইসির অধীনে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যাবে কিনা। আমি নগরবাসীকে গ্রিন-ক্লিন খুলনা উপহার দিতে চাই।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মনোনয়নপত্র জমা দেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মুশফিকুর রহমান। দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক মেয়রপদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ ছাড়া বুধবার নগর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, কেসিসি নির্বাচনে মেয়রপদে ৮টি, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬২ এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলরপদে ৬২টি মনোনয়নপত্র বিতরণ হয়েছে। সূত্র : আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়