শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৬:২৩ সকাল
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৬:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইউএস-বাংলা ট্রাজেডি : অবতরণে অ্যালাইনমেন্ট ঠিক ছিল না

ডেস্ক রিপোর্ট : এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ অব বাংলাদেশ (এএআইজি-বিডি) প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ বলেছেন, ‘নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ অবতরণের ঠিক আগ মুহূর্তে অ্যালাইনমেন্ট (নির্দিষ্ট স্থান বরাবর) ঠিক ছিল না। কিছুটা বাঁকা ছিল, যার কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে বাইরে চলে যায় উড়োজাহাজটি।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিভিল এভিয়েশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। গত ৯ এপ্রিল নেপাল সিভিল এভিয়েশন কর্তৃক ইউএস-বাংলা উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রহমতুল্লাহ তদন্ত প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তদন্তে দেখা গেছে- ক্যাপ্টেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নির্দিষ্টস্থান বরাবর (অ্যালাইনমেন্ট) ঠিক রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি অ্যালাইনমেন্ট সোজা করতে পারেননি। যার কারণে এয়ারক্রাফটি রানওয়ে থেকে ঘাসের উপরে চলে যায়। পরে ঘাসের উপর দিয়ে বেশ কিছু দূর যাওয়ার পর একটা ছোট ড্রেন আছে, সেটা পার হয়ে কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে নিচু ঢালুর দিকে চলে যায়। আর চাকাগুলো রীতিমতো ঘষতে ঘষতে যায়। আমরা তদন্তে দেখেছি, রানওয়ে থেকে প্রায় ৪২২ মিটার দূরে চলে যায় উড়োজাহাজটি। এরপর আগুন ধরে গিয়ে এটি বিধ্বস্ত হয়।’

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সাথে পাইলটের যোগাযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে কো-পাইলট প্রিথুলার সাথে এটিসির যোগাযোগ ছিল। পরে যোগাযোগ করেন ক্যাপ্টেন আবিদ। আর ইউটিউবে যে অডিও পাওয়া গেছে, সেটা অর্জিনাল অডিও নয়।’

০২ আর ২০ নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটিসি থেকে ০২ আর ২০ রানওয়ে নিয়ে একটু ভুল হয়েছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিক কারেকশন করে দিয়েছিল। কাজেই এটা স্বাভাবিক বিষয়। আর শেষ মুহূর্তে পাইলটের কাছ থেকে ইমার্জেন্সি কোনো কল করা হয়নি এটিসিতে।’

এটিসির সাথে পাইলটের শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নেপালের এটিসির সাথে পাইলটের শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল। কিন্তু শেষের দিকে ৪৭ সেকেন্ডের মতো যোগাযোগ ছিল না। এই কিছুক্ষণ সময় যে জিনিসটা চেয়েছে, সেই জিনিসটা তাৎক্ষণিকভাবে আদান-প্রদান হয়নি।

তিনি অবশ্য এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, একসাথে যদি ১০টি উড়োজাহাজ আসে। তখন একজনের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে, এর মাঝে অন্যজন এসে যোগাযোগ শুরু করল। তখন এটা ‘অভার লেপিং’ হয়। তথা একটার উপর দিয়ে অন্যটা চলে গেলে শোনা যায় না। যার কারণে হয়তো কিছু সময় শোনা যায়নি। এটা হয়ে থাকে, নরমাল প্রক্রিয়া। কিন্তু যেহেতু এটা তদন্ত করতে গিয়ে পেয়েছি, সেজন্য এটা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তদন্তে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের কোনো সমস্যা খুঁজে পাইনি।’

আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট কিন্তু দেশীয় কোনো তদন্তের বিষয় নয়। আইকাও-এর রুলস্ মেনেই তদন্ত করা হয়েছে।'

পাঁচ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরার ২ মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। উদ্ধারকাজে চারটি বড় ফোম টেন্ডার, একটি মাঝারি ফোম টেন্ডার ও দুটি পানির ট্যাংক অংশ নেয়।

তবে পাইলট, কেবিন ক্রুসহ অনেক বিষয়ে তথ্য তুলে ধরা হয়নি প্রাথমিক এ প্রতিবেদনে। সেখানে উল্লেখ করা হয়, বিস্তারিত তথ্য মূল প্রতিবেদনে উপস্থাপন করা হবে।

প্রসঙ্গত, নেপাল সিভিল এভিয়েশন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে আছেন একমাত্র বাংলাদেশি ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন রহমতুল্লাহ।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ। এ ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৫২ জন নিহত হন। সূত্র : পরিবর্তন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়