শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৩:৪৪ রাত
আপডেট : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৩:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাশ্মীরে মন্দিরে শিশু ধর্ষণ: বাড়ছে হিন্দু মুসলিম উত্তেজনা

নূর মাজিদঃ ৮ বছর বয়সী ছোট্ট ফুটফুটে চঞ্চল বালিকা আসিফা বানু। কাশ্মীরের যাযাবর গোষ্ঠী গুজ্জারদের সংখ্যালঘু শাখা বাখেরয়াল সম্প্রদায়ের মেয়ে ছিলো সে। জানুয়ারি মাসে তার সম্প্রদায় কাঠুয়া গ্রামের মন্দির সংলগ্ন গ্রামের মাঠে সে যখন তার ঘোড়াদের চরাচ্ছিলো তখন এক ব্যক্তি তাকে পার্শ্ববর্তী এক বনে নিয়ে যায়।

তারপর বাকিটুকু এক নির্মম বর্বরতার ইতিহাস। কিছুদিন জানুয়ারির ১৭ তারিখে ঐ বোন থেকে তার ভয়ঙ্কর বিকৃত মৃতদেহ আবিষ্কার করা হয়। পুলিশের দাবী তাকে ‘সিডেটিভ’ জাতীয় মাদক দিয়ে তিনদিন ধরে ধর্ষণ করা হয়। এই সময়ে তাকে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি পর্যায়ক্রমে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে। আসিফাকে হয়ত অনেক আগেই তারা হত্যা করতে পারত, কিন্তু একজন ধর্ষণকারী তাকে শেষবারের মত আরেকবার ধর্ষণ করতে চাইলে আসিফার যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুকে আরো বিলম্বিত করে পাষ-রা। শেষবার ধর্ষণ শেষে নিস্পাপ বালিকার মাথা দুবার ভারী পাথরের আঘাতে গুঁড়িয়ে দেয় তারা।

আসিফার মৃত্যুর পরে ধর্ষকদের বিচারের দাবীতে উত্তাল ওঠে কাঠুয়া এবং আশেপাশের অঞ্চলের মানুষ। তাদের দাবী পুলিশ বিচার প্রক্রিয়ার দেরী করে আসল অপরাধীদের অনেককেই গা ঢাকা দিতে সহয়তা করেছে।

স্থানীয় যে মন্দিরের জমিতে আসিফার উপর এই বর্বর নির্যাতন চালানো হয় তার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক সাঞ্জি রাম। এছাড়াও পুলিশের বিশেষ বিভাগের দুজন কর্মকর্তাও এই ধর্ষণে অংশ নেয়। জনমতের প্রবল চাপের মুখে পুলিশ তদন্ত করে ৮ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পায় এবং তারা সকলেই হিন্দু।

সোমবার ভারতীয় পুলিশ যখন অভিজুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করতে যান তখন তাদের গায়ের জোরে বাঁধা দেন একদল হিন্দু আইনজীবী। তবে সকল বাঁধা উপেক্ষা করেই পুলিশ অভিযোগপত্র দায়ের করতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে, আসিফার মৃত্যুতে নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে বলে এটিকে তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ বলে আন্দোলন করছেন কাশ্মীরী হিন্দুরা। তাদের মধ্যে ্নারীরাও রয়েছেন।

অন্যদিকে, কাশ্মীরী মুসলিমরা এই ঘটনাকে ঐ এলাকা মুসলিমদের বিতারিত করতে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই করা হয়েছে বলে দাবী করেছে এবং আসিফার ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে নিস্পাপ এই বালিকার মৃত্যু এখন ধর্মীয় অনুভুতির মাপকাঠিতেই দেখছে কাশ্মীরের মানুষ, মানবতা সেখানে অবান্তর প্রশ্ন। ওয়াশিংটন পোস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়