আসিফুজ্জামান পৃথিল : ভবিষ্যতে তথ্য ফাঁস এড়াতে অ্যাপ ব্যবহারে অনুমতি প্রদানের বিষয়টি আরো সহজ করতে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। মার্কিন কংগ্রেসকে দেয়া সাক্ষ্যে এসব জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ। মার্কিন কংগ্রেসে এই নিয়ে টানা ২য় দিন উপস্থিত হলেন জুকারবার্গ। তিনি দাবী করেন ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষকে কাছে আনাই তাদের মূল লক্ষ্য।
তিনি ফেসবুককে একটি আদর্শবাদী ও আশাবাদী কোম্পানী হিসেবে দাবী করেন। তিনি আরো বলেন, ফেসবুক মানুষকে উচ্চকণ্ঠে প্রতিবাদ করা শিখিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি ‘মি টু’ আন্দোলনের কথা বলেন। এরপরেও তিনি স্বীকার করেন, মন্দ উদ্দেশ্যেও ফেসবুকের ব্যবহার হচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি ভূয়া সংবাদ, নির্বাচনে বিদেশী হস্তক্ষেপ, ঘৃণা ছড়ানো এবং তথ্য নিরাপত্তা সমস্যার কথা স্বীকার করেন। তিনি এই সমস্যার সমস্ত দায় নিজে স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, ‘সেটা আমার ভূল ছিল। আমি ক্ষমা চাচ্ছি। আমি ফেসবুক চালু করেছিলাম, আমিই এটি চালাই এবং এখানে যা কিছু ঘটে তার জন্য দায়ী আমি নিজেই।’
এরপর তিনি কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদেও তথ্য চুরির পুরো পদ্ধতিটি তুলে ধরেন। তিনি জানান ২০০৭ সালে ফেসবুক নিজেদের সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার এর সুযোগ পৃদান করে। এরই সুযোগে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আলেক্সান্দার কোগেনের কোম্পানি ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা একটি পার্সোনালিটি কুইজ অ্যাপ নিয়ে আসেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে শুধু ব্যাবহারকারী নয় তাদের বন্ধুদের সার্বজনীন তথ্যাদিও কোম্পানিটির কাছে চলে যেতো। প্রায় ৩ লাখ মানুষ অ্যাপটি ব্যবহার করে। ২০১৪ সালে ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে বন্ধুদের তথ্য দেবার পদ্ধতি বাতিল করে। ২০১৫ সালেই ফেসবুক তথ্য পায় ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করেছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে কোগেন সমস্ত তথ্য মুছে ফেলার দাবী করেন।
জুকারবার্গ আরে জানিয়েছেন ফেসবুক অ্যাপের মাধ্যমে প্রদেয় তথ্যেরও পরিমান কমিয়েছে। এখন এইসব অ্যাপ শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর নাম, প্রোফাইল ছবি এবং ইমেইল ঠিকানা পেতে পারে। তিনি আরো জানিয়েছেন, তথ্য নিতে পারে এমন এপিআই অ্যাপের পরিমান ফেসবুক ক্রমাগত কমাচ্ছে। ইয়ন নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :