সাজিয়া আক্তার: নিষেধাজ্ঞা অমান্ন করে পদ্মায় নির্বিচারে জাটকা শিকার। নববর্ষ ঘিরে বারতি লাভের আশায় মাছ ধরছেন মাদারীপুর শরীয়তপুরের অনেক জেলেরাই। ধরা পরার ভরে নানা কৌশলে মাছ বিক্রি করছে তারা।
পদ্মায় জাটকা ধরায় যেন মহাউৎসব, অথচ জাটকা আহরণে চলছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু নববর্ষ ঘিরে কে শুনে কার কথা? বাড়তি লাভের আশায় আইন মানছে না জেলেরা। ফেলছেন জাল ঝাকে ঝাকে ধরছেন জাটকা। ধরা পরার ভয়ে তারা আবার অবলম্বন করছেন নানা কৌশল। কেউ গ্রামে গ্রামে বেঁচে দিচ্ছেন মাছ, কেউ আবার দুর্গম চরাঞ্চলে মাছ লোকিয়ে রেখে কাকডাকা ভোরে পৌছাচ্ছেন বাজারে।
একজন জেলে বলেন, শত শত নৌকায় জেলেরা জাটকা মাছ ধরছে কারেন্ট জালে, আমরা পেটের অভাবে এই মাছ ধরি।
এলাকাবাসী বলছে মাওয়া, শীবচরের চরমুনাজাত, কাঁঠালবাড়ির ও শরীয়তপুরের জাজিরাসহ পদ্মার ভিন্ন অংশে চলছে জাটকা নিধনযোগ্য। এইসব স্থানে দিনরাত নদীতে জাল ফেলা হলেও তা দেখার যেন কেউ নেই।
পদ্মার তীরবর্তী মানুষেরা বলেন, পদ্মা নদী, আরিয়াল খাঁতে যে ছোট বড় ইলিশগুলি ধরছে বৈশাখ উপলক্ষ্যে আমরা মৎস্যঅধিদপ্তর আসলে কোনো উদ্বেগ দেখছি না। ছোট বড় মাছ ধরলে ক্ষতি হবে তারপরও তারা মাছ ধরছে, যাতে বৈশাখে বেশি টাকা পাওয়া যায়।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ইলিশের সাথে পহেলা বৈশাখ পালনের কোনো সম্পর্ক নেই। এর জন্য যেকোন মাছ, যেকোনো ভরতা, সবজি বা যেকোনো উপাদান খাওয়া যায়, ইলিশ খেতে হবে তার কোনো মানে নাই। মাদারীপুর উপজেলা, শরীয়তপুর যে জেলাগুলোতে ইলিশ ধরা হয় সেগুলোতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।
১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ধরা, বিক্রি ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে।
সূত্র: যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :