মোস্তাফিজার রহমান বাবলু ও মদিনাতুল জান্নাত রুহি,রংপুর: মৃত্যুর ৪ বছর পর দাফনের নির্দেশ পেল নিপা রানীর মরদেহ।
হোসনে আরা’র ইসলাম ধর্ম গ্রহনের আগের নাম ছিল নিপা রানী। আদালতের নিষেধাজ্ঞায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছিল নিপার লাশ। হাইকোর্টে নির্দেশ দিয়েছে নিপা রানীর মরদেহ দাফনের জন্য।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরীর একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয় । জানা যায়, প্রেম করে বিয়ের পর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করেছিলেন নিপা রানী। তবে নিপার পরিবার মামলা করে নিপার স্বামী লাইজুর বিরুদ্ধে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে লাইজু অপহরণ করেছেন বলে অভিযোগ করে নিপার পরিবার।
মামলায় গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয় লাইজুকে। আর নিপাকে যেতে হয় নিরাপত্তা হেফাজতে।এক সময় নিপাকে বাড়ি ফিরিয়ে নেয় তার পরিবার। লাইজুও কারাগার থেকে ছাড়া পান। এরপর দুইজনই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
মৃত্যুর পর নিপা রানীকে ইসলাম ধর্ম মতে দাফন করা হবে, নাকি হিন্দু রীতি অনুযায়ী দাহ হবে- এই বিষয়ে মামলা হয় আদালতে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০১৪ সালের ১০ মার্চ থেকে নিপার মরদেহটি হাসপাতালের মর্গেই পড়ে ছিল। পরে নিম্ন আদালত হয়ে উচ্চ আদালতে আসে মামলাটি।
বৃহস্পতিবার আদালত বিষয়টির নিষ্পত্তি করেন। আদেশে বলা হয়েছে, রায়ের কপি পাওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসক-ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে দাফন কাজ সম্পন্ন করবে। আদেশে এও বলা হয়েছে, দাফনের আগে হোসনে আরার ওরফে নিপা রানীর লাশ তার বাবার পরিবারকে দেখার সুযোগ দিতে হবে।
আদালতে মেয়ের বাবার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সমীর মজুমদার। আর ছেলের বাবার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম বদরুদ্দোজা। উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত ঘটনাটি ঘটেছিল নীলফারী জেলায়।
আপনার মতামত লিখুন :