হুমায়ুন কবির খোকন : চীনে অনুষ্ঠিত বোয়া ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ)’র সম্মেলনে যোগদান শেষে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন গত বুধবার ঢাকা ফিরেছেন।
উল্লেখ্য, তিনি বিএফএ’র বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। এ সম্মেলনে ৮ - ১১ এপ্রিল, ২০১৮ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। বিএফএ সম্মেলন ২০১৮-তে সৈয়দ আবুল হোসেন বিভিন্ন সেমিনার ও আলোচনার সেসনে অংশগ্রহন করেন।
তিনি গত মঙ্গলবার বিএফএ’র মিটিংরুমে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সাথে সক্ষাত করেন এবং ফোরামের বিশেষ প্রতিনিধি ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সাথে এক ফটোশেসনে যোগ দেন।
বিএফএ’র এ সম্মেলনে সকল নেতৃবৃন্দ ও আলোচকরা বিভিন্ন সেসনে এশিয়ার ইমার্জিং হওয়ার নানা দিক তুলে ধরেন। তারা এশিয়ার আন্ত:দেশীয় ব্যবসা-বানিজ্যের ওপর জোর দেন। সেসনে অংশগ্রহনকারী বিশেষজ্ঞ আলোচকরা বলেন, ব্যবসা-বানিজ্যে সংরক্ষন নীতি নয়, বরং অবাধ বানিজ্য ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট নীতি এশিয়াসহ বিশ্বের অগ্রগতিতে অবদান রাখবে।
আলোচকরা বলেন, বানিজ্যে সংরক্ষন নীতি একটি ভুল কার্যক্রম যা এশিয়াসহ বিশ্বের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বড় ধরনের বাঁধা। আমরা যদি বানিজ্য যুদ্ধ এড়াতে না পারি, বাণিজ্যের সংরক্ষন নীতি তুলে দিতে না পারি, তাহলে তা বিনিয়োগ বাজারকে প্রভাবিত করবে। এবং এ’তে বিশ্বের সামগ্রিক বিনিয়োগ কমে যাবে। সম্মেলনের সাইড লাইনে নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনায় সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, এশিয়ার বানিজ্যের বাজারে চীন ও আমেরিকা বৃহৎ উৎস। বাণিজ্যের সরবরাহ খাত যদি বিশ্বব্যাপী যথাযথভাবে বন্টন হয় তাহলে এশিয়াসহ বিশ্বসমাজ উপকৃত হবে। আবুল হোসেন বলেন আজকে আমাদের -স্লোগান হোক-বানিজ্য অবাধ কর, কোটা তুলে দাও এবং ব্যবসা কর, খাও। নেতৃবৃন্দ তার এই বক্তব্যকে স্বাগত জানায়। দেশে ফিরে প্রাসঙ্গিক আলোচনায় সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে সিংগাপুর, কৃষিতে চীন ও থাইল্যান্ড এবং ব্যাংকিং এ সুইজারল্যান্ড আজ সুপরিচিত দেশ। গবেষনা ছাড়াই যে কোন দেশ তাদের প্রযুক্তি ও পরিকল্পনা গ্রহন করতে পারে। সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। আমরা কৃষিসহ অর্থনীতির বিভিন্ন নির্নায়কে অগ্রগতি লাভ করেছি। তিনি বলেন বাংলাদেশ বাণিজ্য, কৃষি ও ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রে যথাযথভাবে সিঙ্গাপুর, চীন ও থাইল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডের কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করতে পারে। এক্ষেত্রে শুধু প্রয়োজন সমন্বয়। প্রশাসনে মেধাবীদের সম্পৃক্তকরন।
আপনার মতামত লিখুন :