স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার চারটি ও সিলেটের দুইটিসহ মোট ছয়টি উপজেলা জুড়ে হাকালুকি হাওর। এছাড়া মৌলভবাজার ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা হাওর হাজার হাজার হেক্টর জমি এখন পাকা ধানে ভরে ওঠেছে। কিন্ত সেই পাকা ধান কাটার মানুষ পাচ্ছেন না কৃষকরা। ধান কাটার শ্রমিক সংকটের কারণে শ্রমেঘামে ফলানো পাকা ধান কাটা যাচ্ছে না। এ নিয়ে কৃষকদের মনে দুঃশ্চিন্তার শেষ নেই।
গত বছর হাকালুকি হাওরসহ সিলেট বিভাগের হাওরে অসময়ে বানের পানি আসায় ধান পাননি কৃষকরা। এবার তাদের জমিতে বাম্পার ফলন উৎপাদন হলেও ধান কাটার মেশিন ও শ্রমিক সংকটের কারণে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন কৃষকরা।
গত এক সপ্তাহ ধরে ব্রি ২৮ জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। যদিও এবার ২৮ ধানে সামান্য ছিটা রয়েছে। তবুও কৃষকরা খুশি। ব্রি ২৯ জাতের ধান কাটা এখনো শুরু হয়নি। আগামি কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে। এর মধ্যে শ্রমিক সংকটে বেকায়দায় পড়েছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন হাকালুকি হাওরে গেলে ভুকশিমইল ও জায়ফরনগর ইউনিয়নের বড়দল, কানেহাত,কালেসার,চিলারকান্দি, সাদিপুর গ্রামের হাওর পাড়ের কৃষক সুশান্ত দাস,অবনী দাস, সুমন, শাহ আলম,জসিম বলেন, প্রতি বছর বৈশাখ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাওরে ধান কাটার শ্রমিকরা আসে। এবার তারা আসেননি। যা এসেছে তা সংখ্যায় খুবই কম। যে কারণে হাওরে পাকা ধান থাকলেও কেটে বাড়িতে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা রোজ দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এখন ২৮ ধান কাটতে গিয়ে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। তবে ২৯ ধান কাটা শুরু হলে শ্রমিক সংকটের প্রকট আকারে দেখা দিবে।
এছাড়া দেখা যায়, শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক জমির মালিকরা নিজে তাদের জমির ধান কাটছেন। এদিকে-জমিতে পাকা ধান রেখে দুঃচিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। আকাশে ঝড় বৃষ্টি হলেই শিলা বৃষ্টির আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েন কৃষকরা। কৃষকদের এখন একটা চাওয়া জমির ধানগুলো যেন তারা নিরাপদে গোলায় তুলতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :