রুহুল অামিন: মানবাধিকার কর্মী, নারী নেত্রী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, পয়েলা বৈশাখ উদযাপনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্ধ্যার অাগে ঘরে ফিরে যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত তা নারীদের ঘরে বন্দি করে রাখার অপচেষ্টা শুধু নয় বাংলাদেশের সংবিধানকেও তাচ্ছিল্য করার একটি প্রয়াস। এ ঘোষণা নারীর মুক্ত চলাচল ও ক্ষতায়নকে বাধাগ্রস্ত করবে ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে 'নারী নিরাপত্তা জোট' অায়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মনবাধিকার কর্মী ও নারী নেত্রী ড. সুলতানা কামাল এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকার নারী বান্ধব দাবি করে তিনি বলেন, কিন্তু প্রশাসনের এমন সন্ধ্যা অাইন জারি করার মাধ্যমে নারী নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে নারী মানবাধিকারকে সমুন্নত না করে বরং নিপীড়নকারী, যৌন নির্যাতনকারী অপশক্তির ইচ্ছাকে স্বীকার করে নেয়া হলো।
তারা যেভাবে নারীকে অবরুদ্ধ করে রাখতে চায়, সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাখতে চায়। নারীদের নির্যাতনের জাঁতাকলে পিষ্ট করতে চায় তাদের সেই চাওয়াকেই এই প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বৈধতা দেয়া হচ্ছে বলে সুলতানা কামাল দাবি করেন।
সুলতানা কামাল ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা বর্ষবরণ উৎসবে যৌন হয়রানির ঘটনা বিচার না হওয়াতে প্রশাসনের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, তারা যৌন হয়রানির ঘটনাটে যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে দেখেনি, তিন বছরেও উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়নি।
নারী নিরাপত্তা জোটের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন হয়নি বরং ভয়বহতা ও নৃশংসতা বেড়েই চলছে।
এবছর পহেলা বৈশাখ অায়োজনে প্রাক্কালে নারী নিরাপত্তা জোট চারদফা দাবি উত্থাপন করেন তাহলে ( ১)বিকাল ৫টার পর জনগণ উম্মুক্ত স্থানে থাকতে পারবেনা এ ধরনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। (২) উন্মুক্ত স্থানগুলো যেন নারী পুরুষ সকলের চলাচলের উপযোগী থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে। (৩) নারীর নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করতে হবে এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।( ৪) প্রতিটি নারী নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :