শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ০৫:১৯ সকাল
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ০৫:১৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রকাশ্যেই কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবি সমর্থন করছি :  ডা. ইমরান এইচ সরকার

আশিক রহমান : কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের ইন্ধনদাতা বাউস্কানিদাতা জাতীয় যে শব্দগুলো আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে সে শব্দগুলোরব্যাপারে আমার আপত্তি রয়েছে। কারণ শব্দগুলো নেতিবাচক শব্দ।  মনে হয় আন্দোলনকেআমি গোপনে সমর্থন করছি। আমি তো গোপনে নয়, প্রকাশ্যেই তরুণদের এ ন্যায্যআন্দোলনে সমর্থন দিচ্ছি। সর্বোতভাবে আমি তাদের দাবির সঙ্গে একমত। তারা যৌক্তিকদাবিতে আন্দোলন করছে। অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নেওয়া উচিত। তারা যে আগামীতেএকটি মেধাভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে ইচ্ছে প্রকাশ করছে, তার সঙ্গে সবারই সংহতিজানানো উচিত। এমন মন্তব্য করেছেন গণজাগরণ মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, তরুণরা যে আন্দোলনটি করছে তাতো কোটা বাতিল নয়, সংস্কারের দাবি। সরকারি চাকরি ব্যবস্থায় এখন যে কোটা ব্যবস্থাবিদ্যমান তা ৫৬ শতাংশ কোটায় নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, মাত্র ৪৪ ভাগ মেধায়। ৫৬ ভাগকোটার জন্য যে বরাদ্দ তা একদম গুটিকয়েক মানুষের জন্য, যা দেশের জনসংখ্যার ক্ষুদ্রএকটি অংশ মাত্র। কোটার বেশির ভাগ অংশ পূরণ হয় না। সার্বিক বিবেচনায় আমাদেরসরকারি নীতিমালায় জাতীয় নীতিটিই এমন হওয়া উচিত যাতে মেধাবীরাই আমাদেররাষ্ট্রপরিচালনা থেকে শুরু করে সরকারের আমলাতন্ত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুযোগ পায়।সেখানে যদি আমরা মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে না পারি সেখান থেকে ভালো কিছু আশাকরাও কঠিন হবে।

তিনি আরও বলেন, কোটা ব্যবস্থাটি প্রচলন হয় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে নিয়েআসার জন্য। সেই বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা দরকার যে, সমাজের কোথায়, কারা, কতঅংশ পিছিয়ে তাদের জন্য কী পরিমাণ কোটা দরকার বিচার–বিশ্লেষণ করে একটা সংস্কারদরকার।

ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা কেন যুদ্ধ করেছিলেন? একটিঅসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের জন্যই তারা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন।মুক্তিযোদ্ধারাই চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন। মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ ভাগকোটা যদি যৌক্তিক না হয়, বেশি মনে হয় নিশ্চয়ই সেখানেও সংস্কার হতে পারে। একটাকোটা বা ব্যবস্থা চালু হলে তা যে পরিবর্তন করা যাবে না এমন কোনো কথা নেই বলেওমনে করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়