শিরোনাম
◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় আমরা অনান্দত

এ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মিঠু : আমরা কোটা প্রথা সংস্কারের পক্ষে । মেধার বিকল্প কোটা হতে পারে না ।
মুক্তিদ্ধাদের সন্তানদের কোটা মেনে নেয়া যায়, নাতি নাতিনদের কোটা মেনে নেয়া যায় না ।
তাছাড়া বেশীর ভাগ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদই নেন নি । নতুন ভাবে সনদ দেয়ার ক্ষেত্রেও হচ্ছে নানান অনিয়ম ।
বর্তমান প্রজন্মের সন্তানদের মেধার বিকল্প হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ধারীদের নাতি নাতনিরা, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কুঠারাঘাত বলে আমি মনে করি । ষোল কোটি মানুষের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সনদ আছে মাত্র দুই লক্ষ লোকের, তাদের নাতি নাতনীরা ৩০ ভাগ আসন পাবার কোন মানে নেই। কোটার সংষ্কার চাওয়া মানে কিন্তু কোটা বাতিল চাওয়া নয়। সব কোটাই বহাল থাকুক। শুধু কোটার যৌক্তিকীকরণ হোক। কেন যেন এ আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষের বলে প্রচার করতে চান কেউ কেউ। কি তাদের উদ্দেশ্য?

কোটার আধিক্যের কারণে সরকারি বিভিন্ন অফিসে ১৪ লাখের বেশি পদ শূন্য থাকার পরও দেশে প্রায় ২৭ লাখ শিক্ষিত বেকার রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯ (১) ধারায় বলা আছে-প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদ-লাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে। তবে ২৯ (৩) (ক) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র নাগরিকদের যে কোনো অনগ্রসর অংশকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভের উদ্দেশ্যে তাদের অনুকূলে বিশেষ বিধান প্রণয়ন করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের ওপর জলকামান, লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল আর রাবার বুলেট ছোঁড়ার সিদ্ধান্ত যারাই দিয়েছে, তারা আসলে সরকারের অমঙ্গলই চেয়েছে। কোটার আন্দোলনে বলপ্রয়োগ না করে ছাত্রদের সাথে আগেই আলোচনায় বসা উচিৎ ছিল। তা না করে আগে বলপ্রয়োগ, পরে আলোচনা কেন? বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের ওপর বলপ্রয়োগের সিদ্ধান্ত কে দিল?

আমি চাকুরীতে কোটা সিস্টেম সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করার পক্ষে নই কিন্তু বর্তমান সিস্টেম অবশ্যই পূন'মূল্যায়ণ করতে হবে। তবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা প্রথা সম্পুর্ণ বাতিল চাই । আমার পরিস্কার মনে আছে, ২১তম বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল ১৭৯ পদ। এর বিপরীতে ১৭৮জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছিল। অন্যদিকে মেধা কোটায় পদের বিপরীতে ১৮/১৯ জন । ব্যাপারটা এমন ছিল, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই বিসিএস চাকুরী এবং এখনো তাই আছে বলা যায় । বর্তমানে কোটা সিস্টেম হচ্ছে ৪৪% মেধা, ৩০% মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ৫% ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, ১০% জেলা কোটা, ১০% নারী কোটা এবং প্রতিবন্ধিদের জন্য ১%আছে। আরেকটি কোটার কথা না বললেই নয়, তা হচ্ছে জেলা কোটা। ছোট বেলা থেকেই দেখে এসেছি, বেশিরভাগ চাকুরীর বিজ্ঞপ্তিতে লেখা থাকতো নিম্নলিখিত জেলার বাসিন্দাদের আবেদন করার দরকার নাই।

এই জেলাগুলোর মধ্যে অবশ্যই কুমিল্লার নাম লেখা থাকতো। তিন পাহাড়ী জেলার জন্য আলাদা কোটা নিধারণ করা আছে। যদিও বর্তমানে এই তিন জেলাতেই পাহাড়ি কম। জেলা কোটাকোটা সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত করতে হবে। কারণ, বর্তমান সরকার দেশের সকল জেলাকেই সমান প্রাধান্য দিয়ে উন্নত করেছেন । প্রয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের স্ত্রীদের মাসে এক লক্ষ টাকা ভাতা দেয়া হউক, কিন্তু সরকারের সুউচ্চ মহল কোটা পূনঃমূল্যায়ণের ঘোষণা অতি জরুরী ।

লেখক : স্পেশাল পিপি, জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল, কুমিল্লা/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়