শিরোনাম
◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ০১:৪৮ রাত
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ০১:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধর্ম যার উৎসবও তার

মুহাম্মাদ আবু আখতার: ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ এ স্লোগানটা আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত। বিজাতীয় উৎসবে যোগদানের পক্ষে যুক্তি হিসেবে অনেকে এ শ্লোগান দিয়ে থাকে। আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে হিন্দুদের মূর্তিপূজার উৎসবকে সার্বজনীন রূপ দেয়ার উদ্দেশ্যে অনেকে এ শ্লোগান তোলে। কিন্তু ইসলামী আকীদার সাথে এ স্লোগানটি সম্পুর্ণ সাংঘর্ষিক। ইসলামে বিধর্মীদের ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা থাকলেও তাদের কোন উৎসবে যোগদান করা মুসলমানদের জন্য কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কোন মুসলমানের জন্য অন্য ধর্মাবলম্বীদের শিরক ও পাপাচারপূর্ণ ধর্মীয় উৎসবে যোগদান করার কোন অনুমতি ইসলামে নেই।

হিন্দু ধর্মমতে, গরু কুরবানি করা মহাপাপ। তাই সাধারণত কোন হিন্দুকেই গরু কুরবানীর সময় উপস্থিত থাকতে দেখা যায় না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অনেক নামধারী মুসলমান নিজের আত্মমর্যাদাকে বিসর্জন দিয়ে মূর্তিপূজার উৎসব দেখতে যায়। অথচ ইসলামে মূর্তিপূজা করা শিরকে আকবার (বড় শিরক)। আর শিরকে আকবর সবচেয়ে বড় পাপ। তাই এ পাপের উৎসবে কোন আত্মমর্যাদাবান মুসলমান উপস্থিত থাকতে পারে না। মূর্তিপূজা তথা শিরক এতো জঘন্য পাপ যে, আল্লাহ তায়ালা (খালেছ দিলে তাওবা করে নতুনভাবে ঈমান গ্রহণ ব্যতিত) এ পাপ কখনো ক্ষমা করবেন না বলে ঘোষণা করেছেন। ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করল, সে যেন (আল্লাহর প্রতি) জঘন্যতম অপবাদ আরোপ করল।’ (সুরা আন-নিসা: ৪৮)

শিরক তথা মূর্তিপূজা করা আল্লাহর প্রতি বিরাট জুলুম করার শামিল। কেননা এতে আল্লাহর হক নষ্ট করা হয়। তাই শিরককে আল্লাহ তায়ালা মহাজুলুম বলে সাব্যস্ত করেছেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যখন লোকমান (আ) উপদেশচ্ছলে তার পুত্রকে বলল, হে বৎস, আল্লাহর সাথে শরীক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সাথে শরীক করা মহা জুলুম।’ সুরা লোকমান: ১৩)

মূর্তিপূজার উৎসবে কোন মুসলমানের যোগদান করা যেমন জঘন্য পাপ তেমনি মূর্তির নামে উৎসর্গকৃত পূজার প্রসাদ খাওয়াও কঠিনতম হারাম। পবিত্র কোরআনে হারাম খাদ্যের বর্ণনায় আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো নামে উৎসর্গকৃত খাদ্যকেও হারাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ‘অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন রক্ত, শুকরের মাংস এবং যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। অতঃপর কেউ সীমালঙ্ঘন কারী না হয়ে নিরুপায় হয়ে পড়লে তবে, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’
(সুরা নাহল: ১১৫)

তাই সকল মুসলমানের উচিত, বিধর্মীদের উৎসবে বিশেষ করে মূর্তিপূজার উৎসবে যোগদান করা থেকে এবং পূজার প্রসাদ খাওয়া থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকা। নিজের অধিনস্ত সন্তানদেরকেও বুঝিয়ে এবং প্রয়োজনে পরিমিত শাসন করে হলেও বিজাতীয় উৎসব থেকে দুরে রাখা উচিত। আল্লাহ আমাদের সকলকে ইসলামের হুকুম অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়