শিরোনাম
◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ০১:৪৬ রাত
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ০১:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসলামে নারী ও পুরুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা

সানজিদা হুসাইন তামীমা: ইংরেজিতে প্রবাদ আছে স্বাস্থ্যই সম্পদ। এটি আল্লাহর দেয়া মানব জাতির ওপর অশেষ নিয়ামত। স্বাস্থ্য বলতে আমাদের মাথায় প্রথমেই আসে স্থুলকায় হওয়া। বস্তুত স্বাস্থ্য হচ্ছে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে সুস্থ থাকা। শারীরিকভাবে সুস্থতার ক্ষেত্রে প্রথমেই আসে শক্তি। আল্লাহ পাক আমাদের রাসূল মুহাম্মাদ (সা.) কে ও একশ পুরুষের শক্তি দান করেছিলেন। শক্তির ব্যাপারে হাদিস রয়েছে। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দূর্বল মু’মিনের তুলনায় শক্তিশালী মুমিন অধিক কল্যাণকর ও আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। তবে উভয়ের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে (সহিহ মুসলিম : ৬৯৪৫)। সুতরাং শক্তি থাকা অপরিহার্য। কেননা ইবাদাত করতেও শক্তির প্রয়োজন। আল্লাহর পথে সংগ্রাম করতেও শক্তির প্রয়োজন। সুস্বাস্থ্যের ব্যাপারে অন্যত্র রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট তোমরা সুস্বাস্থ্য প্রার্থনা করো। কারণ ঈমানের পর সুস্বাস্থ্যের চেয়ে অধিক মঙ্গলজনক কোনো কিছু কাউকে দান করা হয়নি (ইবনে মাজাহ)।

স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে শরিয়তেরও তাগিদ রয়েছে। কেননা অন্যত্র হাদিসে এসেছে, আবু দারদা (রা.) অত্যাধিক ইবাদত করতেন। তবে নিজের শরীরের উপর খেয়াল রাখতেন না। তখন সালমান (রা.) তাঁকে বলেছিলেন, তোমার ওপর তোমার শরীরের হক রয়েছে। আর রাসূল (সা.) তাঁর কথার সত্যায়ন করেছিলেন (বুখারী:১৮৬৭)। তেমনিভাবে অন্য এক হাদিসে স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে পাঁচটি অমূল্য সম্পদের একটি বলা হয়েছে। অতঃপর মানসিক সুস্থতা বলতে বোঝায় মানসিক প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা। যার অনেকটাই ডিপেন্ড করে ব্যক্তির সুস্বাস্থ্যের ওপর। যেমন ইংরেজিতে প্রবাদ রয়েছে একটি সুস্থ্য দেহের মাঝেই একটি সুস্থ মন বসবাস করে। এমনিভাবে মানসিক সুস্থতা নির্ভর করে ইবাদাতের ওপর। এ ব্যাপারে কোরআনের সুরা রা’দের ২৮ নং আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, সাবধান! আল্লাহর যিকিরের মাধ্যমেই অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে। অতঃপর সামাজিক সুস্থতা বলতে বুঝায় সমাজে মানুষের সাথে মিলেমিশে চলা, সকলের সাথে সদাচরণ করা ও সামাজিক ইসলামী নিয়মনীতি মেনে চলা। কেননা ইসলামি জীবন ব্যবস্থা ও সামাজিক ব্যবস্থাই হলো উত্তম ব্যবস্থা যা অনস্বীকার্য।

শারীরিক স্বাস্থ্য যেমনভাবে একজন পুরুষের ক্ষেত্রে অমূল্য সম্পদ, তেমন একজন নারীর নিকট তা মহামূল্যবান সম্পদ। নেপোলিয়নের উক্তি, ‘আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একজন শিক্ষিত জাতি দেব’। সুতরাং প্রবাদ অনুসারে একজন শক্তিমান নারীই পারে একটি শক্তিমান জাতির জন্ম দিতে। আজ আমাদের নারীরা প্রসাধনী নিয়ে যতটা ব্যস্ত থাকে ততটা সুস্বাস্থ্যের ব্যাপারে অমনোযোগী। যে নারী নিজের তার সুস্থতার ব্যাপারে অমনোযোগী তার ব্যাপারে কিভাবে আশা করা যায় যে তার সন্তান হবে শক্তিমান! একজন পুরুষের শক্তি প্রয়োজন রুজিরোজগারে দৈহিক শ্রম ব্যয় করতে। আর একজন নারীর শক্তি প্রয়োজন শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়ে একটা জাতি গঠণে। তাহলে ভাবুন তো তার কতটা শক্তির প্রয়োজন! নারীকে দেয়া হয়েছে ইসলামে অগ্রাধিকার অথচ তারা চাচ্ছে সমানাধিকার! যে নারী হলেন ঘরের রাণী, যিনি কি না গড়ে তুলবেন দেশ, জাতি ও ধর্মের যোগ্য নেতা অথচ তিনি নিজেই দিচ্ছে মসনদে নেতৃত্ব! তবে কে গড়বে সেই লৌহ সৈনিক? কে গড়বে আগামী দিনের নেতা?

সুতরাং নারীদের যেমন নিজের ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত তেমনি পুরুষ সমাজের উচিত নারীদের সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন করে তোলা। তাদের শারীরিক-মানসিক সব সুস্থতা বজায় রাখা। এ ব্যাপারে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়